ঢাকা: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার সাত বিদেশিসহ নয়জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
নয় আসামি হলেন- নাহিদুল ইসলাম (৩০), সোনিয়া আক্তারকে (৩৩) দুইদিন এবং ওডেজে ওবিন্না রিবেন (৪২), নটোম্বিকনা (৩৬), ইফুইন্নয়া ভিভান (৩১), সানডে ইজিম (৩২), চিনেডু নিয়াজি (৩৬), কোলিমন্স তালিকে (৩০), চিঢিম্মা ইলোফোর (২৬) এর একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এদের মধ্যে ছয়জন নাইজেরিয়ান, একজন দক্ষিণ আফ্রিকান এবং দুইজন বাংলাদেশি।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাফিজুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, তারা প্রতারক চক্রের সদস্য। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পরস্পর যোগসাজসে অবৈধভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করে, অপরের নাম ও ঠিকানা, ছবি ধারণ পূর্বক ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে পরিচয় গোপন করে সারাদেশ থেকে সহজ-সরল জনসাধারণের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা প্রতারণাপূর্বক আত্মসাৎ করে আসছিল। তারা আন্তর্জাতিক প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। আসামিদের নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাই করা সম্ভব হয়নি। তারা জামিনে মুক্তি পেলে চিরপলাতক হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তাই তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
আসামিপক্ষে গাজী শাহ আলম, তাহমিনা আক্তার হাশেমী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানিতে তারা বলেন, ‘দুই দিন আগে আসামিদের গ্রেফতার করে র্যাব। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের আদালতে হাজির করার আইন থাকলেও তা মানা হয়নি। তাদের নির্যাতন করা হয়েছে। এ অবস্থায় রিমান্ডে দিলে তাদের আরও নির্যাতন করা হবে। এছাড়া র্যাব-পুলিশ দুইদিন জিজ্ঞাসাবাদের সময় পেয়েছে। এখন আবার রিমান্ড আবেদন কেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে তাদের জামিন প্রার্থনা করছি। ’
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই বাংলাদেশির দুইদিন করে এবং সাত বিদেশির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত র্যাব-৪ এর একটি দল র্যাব-৮ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে রাজধানীর পল্লবী থানা, রূপনগর থানা ও দক্ষিণখান থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় আটটি পাসপোর্ট, ৩১টি মোবাইল ফোন, তিনটি ল্যাপটপ, একটি চেক বই, প্রায় লক্ষাধিক টাকা।
পরে তাদের বিরুদ্ধে দক্ষিণখান থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২২
কেআই/আরআইএস