ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অটোরিকশা চালককে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রী খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২২
অটোরিকশা চালককে হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, স্ত্রী খালাস

বরিশাল: বরিশালে অটোরিকশা চালক রোমান হোসেন হত্যা মামলায় অপর চালক আসলাম ওরফে মিজান তালুকদারকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে।

অপরদিকে একই মামলায় আসলামের স্ত্রী খাদিজা আক্তার বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করেন জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক টিএম মুসা।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসলাম ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়নের চরমনসা এলাকার আব্দুর রশিদ সর্দারের ছেলে। হ্ত্যাকাণ্ডের আগে তিনি বরিশাল নগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের চাঁদমারি এলাকায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বরিশালের আর্শেদ আলী কন্ট্রাক্টর গলির বাসিন্দা ও মামলার বাদী মাইদুল ইসলাম রিফাত একজন ব্যবসায়ী। ‘মেরী পরিবহন’ নামে তার একটি অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতেন রোমান। চালক রোমান দক্ষিণ সাগরদী ধানগবেষণা রোড এলাকার হান্নান জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

২০২০ সালের ২৯ জুন রাত সাড়ে ১০টার দিকে গাড়ি নিয়ে ত্রিশগোডাউন এলাকা থেকে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন রোমান। তিনি আসলাম, তার স্ত্রী খাদিজা ও শাশুড়ি সাহিদা বেগমকে নিয়ে বাকেরগঞ্জে যাচ্ছিলেন। সেখানেই আসলামের শ্বশুরবাড়ি। বৃষ্টির দিন হওয়ায় রাস্তায় কাদা ছিল। পরে পা ধোয়ার কথা বলে রোমানকে বাকেরগঞ্জের দুধল ইউনিয়নের ডিকেপি স্কুল হাট সংলগ্ন রাঙামাটি নদীর তীরে নিয়ে যান আসলাম। সেখানেই অটোরিকশার মালিক হওয়ার স্বপ্নে ৩০ জুন ভোররাতে রোমানকে হত্যা করা হয়। তার পেট কেটে নদীতে ভাসিয়ে দেন আসলাম।

এদিকে রোমানের কোনও সন্ধান না পেয়ে অটোরিকশার মালিক রিফাত ও তার স্বজনরা খবর নেওয়া শুরু করেন। পরে ৯ জুলাই বাদী খবর পান, তার মালিকানাধীন অটোরিকশাটি বাকেরগঞ্জের কাকরধা এলাকা থেকে রং পরিবর্তন করা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে চালকের কোনও সন্ধান পাননি।

এরপর রোমানের শ্বশুরের মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন, আসলাম তাকে নিয়ে বাকেরগঞ্জে গিয়েছিলেন। যেখান থেকে গাড়িটি উদ্ধার করা হয়েছে তার পাশেই আসলামের খালু শ্বশুরের বাড়ি। এ ঘটনায় গত ১০ জুলাই কোতোয়ালি মডেল থানায় আসলাম ও তার স্ত্রীর নাম উল্লেখ করে এবং এবং ৩/৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায় তদন্তে নেমে পুলিশ আসলাম ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করলে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে ২০২১ সালের ৩১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহআলম মল্লিক।

১৩ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত মঙ্গলবার রায় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নুরুল হক।

‌বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, জানুয়া‌রি ১৮, ২০২২
এমএস/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।