ঢাকা: প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ রাব্বী হত্যা মামলায় তিনজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা পরিবর্তনের অভিযোগ করেছেন এক আসামির বাবা। এ নিয়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর আবেদন করেছেন মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ওই আসামি মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলামের পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম।
তিনি নিজেই আবেদনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতি বরাবর করা ওই আবেদনে বলা হয়, আবরার হত্যা মামলার ২২ নম্বর সাক্ষী মো. গালিব, ২৭ নম্বর সাক্ষী ওয়াহিদুর রহমান ও ২৮ নম্বর সাক্ষী মো. সাইফুল ইসলাম সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দি ও জেরাকে পরিবর্তন করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিচারকের এই রায়ে তার ছেলে বুয়েট শিক্ষার্থী মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম পিংকুকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে, যা অত্র বিচারকের দেওয়া রায়কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। এছাড়াও তার ছেলে পিংকুর প্রতি অবিচার ও অন্যায় করা হয়েছে।
আবেদনে তিনি আরও দাবি করেন, রায়ের পর প্রকাশিত জাবেদা নকলের সাথে সাক্ষী চলাকালে প্রদত্ত জাবেদা নকলের বক্তব্যের মিল নেই। এই তিনজন সাক্ষী কোনোভাবে জবানবন্দিতে বা জেরার সময় নিজেদের প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে দাবি করেননি। অথচ রায়ের পরবর্তীতে পূর্বের তোলা জাবেদা নকলের সহিত পরবর্তীতে উত্তোলন করা জাবেদা নকল মিলিয়ে দেখা যায়, উল্লেখিত তিনজন সাক্ষীকে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী করা হয়েছে।
আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয়, তার পরের দিন ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে।
তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ওই বছরের ১৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৫ জনকে আসামি করে চার্জশিট জমা দেন।
২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার শুরু হয়। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে গত ৮ ডিসেম্বর মামলার রায় দেওয়া হয়। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২২
কেআই/এমজেএফ