ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন, দুই বান্ধবী খালাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
স্কুলছাত্রী ধর্ষণ: যুবকের যাবজ্জীবন, দুই বান্ধবী খালাস

ঢাকা: প্রায় ১১ বছর আগে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলারপাড় এলাকায় দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় আরিফ নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এএম জুলফিকার হায়াত এ রায় দেন।

 

এছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণা শেষে দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ভিকটিমের দুই বান্ধবীসহ তিনজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায়ে খালাস পাওয়া তিন আসামি হলেন- ভুক্তভোগীর দুই বান্ধবী ফাতেমা আক্তার শান্তা ও আরিফা আক্তার ইতি এবং শান্তার ভাই শিপন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদা আক্তার এ তথ্য জানান।

ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা ২০১১ সালের ৬ আগস্ট চারজনকে আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা যায়, ২০১১ সালের ৩১ জুলাই বিকেলে আরিফসহ অপর তিন আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগীর কথা কাটাকাটি, তর্ক-বিতর্ক হয়। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিমের পরিবার ইন্টারনেটে ভুক্তভোগীর সঙ্গে আরিফের যৌন সম্পর্কের দৃশ্য দেখতে পায়। পরে পরিবারের জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী জানায়, ৭ জুন সকালে স্কুলে যাওয়ার পথে তার দুই বান্ধবী তাকে শান্তার বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে তাকে চকলেট খেতে দেয়। চকলেট খাওয়ার পর সে অস্বাভাবিক হয়ে পড়ে এবং তার ঘুম ঘুম ভাব হয়। সকাল ১০টার দিকে আরিফ শান্তাদের বাসায় আসে। তারপর তাকে ধর্ষণ করে। অপর তিন আসামি সেই অশ্লীল ছবি ধারণ করে। পরে হুমকি-ধামকি দিয়ে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়।

মামলাটি তদন্ত করে ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর চারজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মাজহারুল ইসলাম।

২০১২ সালের ৮ অক্টোবর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২২
কেআই/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।