ঢাকা: পানামা এবং প্যারাডাইস পেপারে যাদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ সিআইডির প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া সুইস ব্যাংকসহ বিদেশের ব্যাংকের আর কারো অর্থ আছে কিনা তাদের তথ্য ৬ মার্চের মধ্যে জানাতে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিলিজেন্স ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএফআইউয়ের প্রতিবেদন দাখিলের পর এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
বিদেশি ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির নিয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে বাংলাদেশের ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা কোনো সত্ত্বা কে-কত টাকা পাচার করেছে, পাচার করা টাকা ফিরিয়ে আনতে এবং পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে তথ্য জানতে চাওয়া হয়।
এ মামলায় ১৪ নম্বর বিবাদী ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এ আদেশ অনুসারে সিআইডির দেওয়া এসব তথ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে গত বছরের ১২ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়। এছাড়া দুই পর্বে গত ৫ ডিসেম্বর এবং আজকে প্রতিবেদন দাখিল করে দুদক। আর বিএফআইউ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকও আজকে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নাম উঠে আসে।
এরপর আদালত দাখিল করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্তের অগ্রগতি জানাতে দুদক ও সিআইডিকে নির্দেশ দিয়ে ৬ মার্চ দিন ধার্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২২
ইএস