ঢাকা, শনিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ মে ২০২৪, ০৯ জিলকদ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

ঠাকুরগাঁওয়ে অস্ত্র মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
ঠাকুরগাঁওয়ে অস্ত্র মামলায় এক আসামির যাবজ্জীবন 

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁও জেলায় অস্ত্র মামলায় আবু সাইদ (২৮) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (০১ ফেব্রুয়ারি) আবু সাইদ ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ (এ) ও (এফ) ধারায় বর্ণিত অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ১৯ (এ) ধারায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সেই সঙ্গে ওই আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তাকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ মামুনুর রশিদ।

সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবু সাইদ হরিপুর উপজেলার লহুচাদ গ্রামের বদরুল ইসলামের ছেলে। মামলায় অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন- একই গ্রামের আসাদুজ্জামান লিটন ও সোলেমান আলী।

রাষ্ট্রপক্ষের সরকারি অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায় জানান, ২০১৮ সালের ২ জুলাই গ্রামীণ ব্যাংকের রাণীংশকৈল উপজেলার কাশিপুর শাখার ডেপুটি প্রিন্সিপাল অফিসার হারুন অর রশিদ ও তার পিয়ন মুকুল হোসেন সোনালী ব্যাংকের নেকমরদ শাখা থেকে ছয় লাখ টাকা তুলে মহারাজা হাটে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্লভপুর নামক স্থানে পৌঁছালে আবু সাইদ ও তার সহযোগীরা মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের গতিরোধ করে এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ভয় দেখিয়ে ছয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। পরে হারুন অর রশিদ ও তার পিয়ন মুকুল হোসেন চিৎকার দিতে দিতে তাদের ধাওয়া করতে থাকেন। এভাবে আরাজি চন্দনহট গ্রামে পৌঁছালে পুলিশের চেকপোস্ট দেখে মোটরসাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন আবু সাইদ ও তার সহযোগীরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আবু সাইদ ও আসাদুজ্জামান লিটনকে আটক করে। আবু সাইদের কাছ থেকে একটি ম্যাগজিন যুক্ত বিদেশি পিস্তল ও গুলি এবং আসাদুজ্জামান লিটনের কাছ থেকে টাকার ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।  

পরে রাণীশংকৈল থানায় এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসগর আলী। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় দিলেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।