ঢাকা: এবি ব্যাংক থেকে ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডারের মাধ্যমে ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় কাকরাইল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক এবিএম আব্দুস সাত্তারকে কেন জামিন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (০২ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ দুই সপ্তাহের রুল জারি করেন।
আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন মানিক।
পরে একেএম আমিন মানিক জানান, অন্য দুই আসামির জামিন শুনানিকালে গত ৭ ডিসেম্বর ১৫ আসামির বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞাও জারির আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর ১০ জানুয়ারি আব্দুস সাত্তার নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সেখানে নামঞ্জুর হওয়ার পর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আজ আদালত তার জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছেন।
গত বছরের ৮ জুন এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, ব্যাংকের সাবেক এমডি শামীম আহমেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার আসামিরা হলেন- এরশাদ ব্রাদার্স করপোরেশনের মালিক এরশাদ আলী, এবি ব্যাংক কাকরাইল শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক এবিএম আব্দুস সাত্তার, কাকরাইল শাখার সাবেক রিলেশনশিপ ম্যানেজার মোহাম্মদ আবদুর রহিম, কাকরাইল শাখার এসভিপি মো. আনিসুর রহমান, সাবেক ভিপি শহিদুল ইসলাম, এভিপি মো. রুহুল আমিন, ইভিপি ওয়াসিকা আফরোজ, সাবেক ইভিপি মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক এসইভিপি সালমা আক্তার, এভিপি মো. এমারত হোসেন ফকির, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার মো. তৌহিদুল ইসলাম, এমভিপি শামীম এ মোরশেদ, কাকরাইল শাখার ভিপি খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, এভিপি সিরাজুল ইসলাম, সাবেক ভিপি মোহাম্মদ মাহফুজ উল ইসলাম, কাকরাইল শাখার ডিএমডি মশিউর রহমান চৌধুরী ও সাবেক এমডি শামীম আহমেদ।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ এই মামলাটি দায়ের করা হয়। পরে শহিদুল ইসলাম ও আবদুর রহিম হাইকোর্টে আগাম জামিন নিয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তারা উচ্চ আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন>>
১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাংলাদেশ সময়: ১২২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২২
ইএস/এমআরএ