বরগুনা: ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চ অভিযান-১০ এর মালিক মো. হাম জালাল শেখকে।
বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) জামিন দিয়েছে বরগুনার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
জানা যায়, লঞ্চ অভিযান-১০ ঢাকা থেকে ২৩ ডিসেম্বর বরগুনা উদ্দেশে ছেড়ে এসে রাত ৩টায় ঝালকাঠি সুগন্ধা নদীতে হঠাৎ আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্য লঞ্চে আগুন ছড়িয়ে যায়। এতে ৪৭ জন যাত্রী মারা যায় এবং ৭২ জন যাত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বহু যাত্রী নিখোঁজ হন।
এ ঘটনায় জনস্বার্থে অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল ইসলাম বাদী হয়ে বরগুনা চিফ জুডিসিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬ ডিসেম্বর লঞ্চের মালিক মো. হাম জালাল শেখকে আসামি করে একটি মামলা করে। ঢাকার সূত্রাপুর থানায় দাখিলকৃত একটি মামলায় মালিককে ২৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে।
বরগুনা থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম বরগুনা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে লঞ্চ মালিককে ৪ জানুয়ারী দৃশ্যত: গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে।
চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম ওই দিন মালিককে দৃশ্যত (শ্যোন অ্যারেস্ট) গ্রেফতার দেখায়। আসামি পক্ষে ১ জানুয়ারি জামিনের আবেদন করলে বৃহস্পতিবার শুনানির দিন রাখেন। বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
আসামির আইনজীবী এম. মজিবুল হক কিসলু বাংলানিউজকে বলেন, আমি আদালতে বলেছি, একই বিষয় নিয়ে একাধিক আদালতে মামলা চলতে পারে না। নৌযান সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার করার জন্য অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ধারা ৪৭ অনুযায়ী নৌ আদালত প্রতিষ্ঠিত করা হয়। উক্ত অধ্যাদেশের ৭৩ ধারা অনুযায়ী নৌযান সংশ্লিষ্ট মামলার বিচার করার জন্য নৌ আদালতই উপযুক্ত। আমরা আদালতে আরও বলেছি বাংলাদেশ সংবিধান ৩৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে এক অপরাধের জন্য কোনো ব্যক্তিকে একাধিকবার ফৌজদারিতে সোপর্দ ও দণ্ডিত করা যাবে না।
এছাড়া লঞ্চের ফিটনেস, রুট পারমিট সবকিছু সঠিক ছিল। আসামি ওইদিন লঞ্চে ছিল না। সার্বিক বিবেচনায় ম্যাজিস্ট্রেট একজন বয়স্ক আসামিকে জামিন দিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষের সিএসআই জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি জামিনের বিরোধিতা করেছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০২২
এনটি