ঢাকা: ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম মামলা হয় রাজধানীর গুলশান থানায়। সেই মামলা দায়েরের প্রায় ২০ বছর পর বিচারকাজ শেষে রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) পরিবেশ আপীল আদালতের (বিশেষ দায়রা আদালত) বিচারক এস. এম. এরশাদুল আলম এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শরিয়তপুরের নড়িয়া থানার ছোটপাড়া গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলাম ওরফে জুয়েল, তার ভাই সফিকুল ইসলাম ওরফে রফিকুল ইসলাম, একই গ্রামের মরহুম অনু মাস্টারের ছেলে সামছুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানার মোগড়াপাড়া গ্রামের বাদল সাহার ছেলে সোমনাথ সাহা ওরফে বাপ্পী এবং ডেমরা থানার মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া মৃধা বাড়ির মোজাম্মেল হকের ছেলে এমরান হক।
তাদের মধ্যে সফিকুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া মাদক আইনের আরেক ধারায় তাকে আরও তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
অপর চার আসামিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে জুয়েল ও রফিকুল ইসলাম রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর তিন আসামি পলাতক রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এ. এফ. এম রেজাউল করিম হিরণ সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, রায়ে মামলায় মাদক বিক্রির জব্দ করা দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা ও দুটি মোবাইল সেট রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
২০০২ সালের ১৮ ডিসেম্বর সফিকুল ইসলামের গুলশান থানার নিকেতনের বাসায় তল্লাশি চালায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। সেখান থেকে ইয়াবা ছাড়াও ৪০০ গ্রাম টেট্রা হাইড্রোক্যানাবিনল, তিনটি হেরোইন সেবনের পাইপ, দুই পিস যৌন উত্তেজক এডেগ্রা ট্যাবলেট ও ১২০ পিস মরফিন ও অ্যামফিটামিনযুক্ত মাদক বিক্রির দুই লাখ ৩৯ হাজার ৮০০ টাকা, ২১টি পর্ন সিডি, দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এনামুল হক গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৩ সালের ১৪ জানুয়ারি ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে হাইকোর্ট এ মামলার আসামি মোসফিক রহমান ওরফে তমালের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম বাতিল করেন।
২০১০ সালের ৫ এপ্রিল পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
কেআই/জেএইচটি