নড়াইল: নড়াইলে ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে প্রাইভেট টিউটরের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
এছাড়া এ ঘটনায় ওই যুবককে পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (১) ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
পর্ণোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮ (২) ধারায় তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের ও এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন এ রায় দেন। আসামির দণ্ড পর্যায়ক্রমে একটির পর একটি কার্যকরের ও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত যুবক আশরাফুজ্জামান রানা (৩১) নড়াইলের লোহাগড়া পৌর এলাকার গোপীনাথপুরের মৃত মনিরুজ্জামান শেখের ছেলে।
নড়াইল আদালতের পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জিয়াউর রহমান ওই রায়ের বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি লোহাগড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি কলেজে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার এসএসসি পরীক্ষার আগে ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে মেয়েটি প্রাইভেট পড়াতেন। এ সুযোগে তাকে বিভিন্ন সময়ে ওই যুবক ধর্ষণ করেন। এছাড়া ধর্ষণের নগ্ন ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখেন ওই যুবক। তিনি মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। মেয়েটি রাজি না হওয়ায় ভিডিওচিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। ভয়ে মেয়েটি কারো কাছে ঘটনা বলেননি। এরপর মেয়েটির অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়। তখন ওই যুবক বিয়ের পাত্রের বাড়িতে গিয়ে ওই ভিডিওচিত্র দেখিয়ে জানান, মেয়েটির সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হয়।
২০২১ সালের ২১ মার্চ মেয়েটির বাবা লোহাগড়া থানায় এ ঘটনায় মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেফতার রানা আদালতে নিজের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দী দেয়। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ওই বছরের ৩০ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয়।
মামলাটির বিচার কাজ চলাকালীন মোট ১০জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় আদালত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এনএইচআর