রাজশাহী: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অপর একটি ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. জিয়াউর রহমান এ রায় দেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমিকার অশ্লীল ছবি ভাইরাল করে পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি মামলায় তাকে এই সাজা দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তের নাম ইমরান হোসেন ওরফে ইমন (২৭)। বাড়ি নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বিলগোপালহাটি গ্রামে। বাবার নাম আবদুল খালেক। ২০১৯ সালে যখন মামলাটি দায়ের হয়, তখন ইমরান ঢাকার শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে আদালত থেকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌশুলি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার এক তরুণীর সঙ্গে ইমরানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরবর্তীতে ইমরানের আচরণ ভাল না লাগার কারণে ওই তরুণী যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ওই তরুণীর ছবি এডিট করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়াতে শুরু করেন ইমরান। শুধু তাই নয় ওই তরুণীর বান্ধবীসহ বিভিন্নজনের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে তিনি বিভিন্ন অশ্লীল ছবি পাঠাতে শুরু করন। পরবর্তীতে ওই তরুণীর মাকে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় তিনি আরও বেশি ছবি ছড়াতে থাকেন। এনিয়ে ওই তরুণীর বাবা চাঁদা দাবি ও অশ্লীল ছবি ছড়ানোর অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ইমরানের নামে বগুড়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মোট ৭ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য নেন। পরে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন।
অ্যাডভোকেট ইসমত আরও জানান, আসামিকে সাজার পাশাপাশি নগদ অর্থও জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানাও ওই টাকা ভুক্তভোগী তরুণীকে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। #
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এসএসেএমএমজেড