ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

লক্ষ্মীপুরে কৃষক হত্যা: ৫ জনের ফাঁসি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
লক্ষ্মীপুরে কৃষক হত্যা: ৫ জনের ফাঁসি ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আলী আকবর কারী (৭০) নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনের ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই মালায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিন জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. জসিম উদ্দিন (৩২) নুর মিয়া (৬৮), সফিকুর রহমান (৫২), মো. তৌহির হোসেন (৩৫) ও মো. রুবেল হোসেন (২৮)। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মো. জুয়েল (২৯), রাহেলা বেগম (৩৮), মোক্তার হোসেন (৩০)। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, উম্মে হাবিবা, ওসমান কবিরাজ ও মোশারফ হোসেন মশু।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জুয়েল ও মোক্তার হোসেন ছাড়া বাকি আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এরা সবাই রায়পুর উপজেলার এবং দণ্ডপ্রাপ্ত সফিকুর রহমান চাঁদপুরের হাইমচর এলাকার বাসিন্দা।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, বিজ্ঞ আদালত স্বাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পাঁচ জনের ফাঁসির আদেশ, তিন জনের যাবজ্জীবন ও তিন জনকে খালাস দেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ এবং বাদিপক্ষ সন্তুষ্ট।

বাদি পক্ষের আইনজীবী মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, বাদি পক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছেন।

নিহত আলী আকবরের বড় পুত্র ও মামলার বাদি মো. তহিরুল ইসলাম (৩৯) বলেন, আদালতের দেওয়া রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয়, আমরা সে দাবি জানাচ্ছি।

আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুরে রায়পুর উপজেলার উত্তর চর বংশী ইউনিয়নের চর বংশী গ্রামের কৃষক আলী আকবর ২০১৮ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টা দিকে তার গাছ থেকে ডাব পাড়তে যান। এ সময় পূর্ব বিরোধের জের ধরে অভিযুক্তরা তার ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে প্রথমে রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওইদিন নিহতের বড় ছেলে তহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে ১০ জনকে আসামি করে রায়পুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১৯ সালের ১ এপ্রিল পুলিশ এজাহারভূক্ত ১০ জনসহ মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৮ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ নিয়ে তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে ৫ জনের ফাঁসির আদেশ ও তিন জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন। এ সময় তিন জনকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।  

এদিকে বিবাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মঞ্জুর জিলানী রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।