ঢাকা: প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলায় মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী নাজমুল হককে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি নাজমুল হককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় আসামি নাজমুল হক পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
জানা যায়, মেসার্স সাদিয়া ইন্টারন্যাশনাল, ৯-এইচ, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা ঢাকা এর স্বত্বাধিকারী নাজমুল হক ১৯৯৬ সালের ২৮ নভেম্বর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাইম ব্যাংক মতিঝিল শাখায় একটি চলতি হিসাব খোলেন। নাজমুল হক ভারত থেকে অ্যাগ্রিকালচার ডিজেল ইঞ্জিনের স্পেয়ার পার্টস আমদানির জন্য ২৫ শতাংশ মার্জিনে দুটি এলসির জন্য আবেদন করে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার টাকা জমা দেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর ২৫ হাজার ১০০ মার্কিন ডলার যা দেশীয় মুদ্রায় ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪৯১ টাকা মূল্যের এলসি ভারতীয় সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স বনানী এন্টারপ্রাইজের অনুকূলে রাখা হয়। মালামাল আমদানির পর ব্যাংক থেকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও গ্রাহক ও আমদানিকারক নাজমুল হক ব্যাংক থেকে আমদানি করা মালামালের শিপিং ডকুমেন্ট ছাড় করেননি এবং কাস্টমস থেকে মালামাল খালাস করেননি।
শিপিং ডকুমেন্ট ছাড় না করে এবং কাস্টমস থেকে মালামাল খালাস না করে ২৫ শতাংশ মার্জিনে ৪৯ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার যা দেশীয় মুদ্রায় ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৭২৭ টাকা মূল্যের দুটি এলসি খুলে পাঁচ লাখ ২৩ হাজার টাকা বাদে ব্যাংকের পাওনা বাবদ ১৫ লাখ ৬৪ হাজার ৭২৭ টাকা প্রতারণা ও ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন।
এ অভিযোগে ২০১১ সালের ২৯ ডিসেম্বর দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক গোলাম মোস্তফা মতিঝিল থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে একই ব্যক্তি ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
মামলার বিচার চলাকালে আদালত ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে সাতজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২২
কেআই/আরবি