ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ১১ জনকে কারাদণ্ড

নড়াইল: দুর্নীতির মামলায় নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক পৌরমেয়র এড. সোহরাব হোসেন বিশ্বাসসহ ১১ জনকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) যশোর স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দেন।

নড়াইলের রূপগঞ্জ হাট ইজারা দুর্নীতি মামলায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের যশোরের পিপি এড. সিরাজুল ইসলাম।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, নড়াইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নড়াইল পৌরসভার তৎকালীন মেয়র এড.সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, তৎকালীন কাউন্সিলর খন্দকার আল মনসুর বিল্লাহ, সাবেক কাউন্সিলর আহম্মদ আলী খান, সাবেক কাউন্সিলর তেলায়েত হোসেন, ইজারাদার রফিকুল ইসলাম, ইজারাদার রাধে কুন্ডু, ইজাজুল হাসান বাবু, ইজারাদার জিল্লুর রহমান, ইজারাদার এইচএম সোহেল রানা, তৎকালীন পৌর সচিব শফিকুল আলম, সাবেক সহকারী প্রকৌশলী ওয়াজিহুর রহমান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে আসামিরা হাট বাজার ইজারা দেয় ১৪১২(বাংলা) সালে। আসামিরা নড়াইল পৌরসভার রূপগঞ্জ সাধারণ হাট ও নড়াইল বাস টার্মিনাল ইজারা দিয়ে ৭ লাখ ৮১ হাজার ২০ টাকা ও ১৪১১ সালে একই হাট ৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা আদায় করে। সর্বমোট ১২ লাখ ২২শ’ ৮০ টাকা পৌরসভায় জমা না দিয়ে তারা আত্মসাৎ করে।

এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত যশোর জেলা কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে ২০০৮ সালের ৭ আগস্ট নড়াইল সদর থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী পৌর মেয়র, কাউন্সিলর, ইঞ্জিনিয়ার সচিবসহ ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। পরবর্তীতে মামলাটি বিচারের জন্য স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল জজ আদালতে পাঠানো হয়।

এই মামলায় সাক্ষী গ্রহণ শেষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক প্রত্যেককে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাস করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে আত্মসাৎকৃত ১২ লাখ ২২শ’ ৮০ টাকার মধ্যে আসামি জিল্লুর রহমান ১ লাখ ৮৬ হাজার ৬০ টাকা, সোহেল রানা ৩ লাখ ৫২ হাজার ১শ ২০ টাকা, রাধেকুণ্ড ৩ লাখ ৫০ হাজার, রকিবুল ইসলাম ১ লাখ ৮৫ হাজার, ইজাজুল হাসান ১ লাখ ৪৮ হাজার ৯শ টাকা পরিশোধ করবে।

সাজাপ্রাপ্ত এজাজুল হাসান, জিল্লুর রহমান ও রকিবুল হাসান বাদে সকলেই কারাগারে আটক আছেন।

উল্লেখ্য, ইজারা সংক্রান্ত দুর্নীতির অপর মামলায় নড়াইলের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড.সোহরাব হোসেন বিশ্বাস ২০১৭ সালে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।