কুমিল্লা: কুমিল্লার হোমনায় ইন্টারনেট ক্যাবল ব্যবসায়ী ও যুবলীগ কর্মী সালাহউদ্দিন প্রকাশ জহিরকে (২৮) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
এতে উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দিন পাঠান ও তার ভাতিজা মোকবল পাঠানকে আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) নিহত যুবকের বড় বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ২৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগ উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। হত্যার ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। সবাই পলাতক রয়েছেন। এলাকা এখনও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। নিহত যুবকের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
স্থানীয় সূত্রমতে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। সালাহউদ্দিন আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের রেনু মোল্লার ছেলে।
থানা ও মামলার বিবরেণে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত ৮টার দিকে আসাদপুর ইউনিয়নের ঘনিয়ারচর গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে তেভাগিয়া বেইলি ব্রিজের ওপর সন্ত্রাসীরা স্থানীয় ক্যাবল ব্যবসায়ী মো. জহির প্রকাশ সালাউদ্দিনকে (২৮) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় তিনি রামকৃষ্ণপুর বাজার থেকে ঘনিয়ারচর গ্রামের নিজ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠায়। ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরপরই রাত ১২টায় মারা যান জহির।
এ ব্যাপারে হোমনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, নিহতের বড় বোন পারুল আক্তার বাদী হয়ে হোমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২২
এএটি