ঢাকা: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম বলেছেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবার জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অঙ্গীকার। এই অঙ্কীকার পূরণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকতার সঙ্গে ও আইনের বিধান অনুসরণ করে কাজ করার আহ্বান জানাই।
শনিবার (০৫ মার্চ) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ঢাকার সিএমএম আদালতের কনফারেন্স রুমে এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তবে মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ বলেন, মানি লন্ডারিং আইন, দুদক আইন ও মাদক আইনের মামলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে তদন্তকারী সংস্থাগুলো সমন্নয় করে তদন্ত করতে হবে।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে মামলার ভিত্তি রচনা করে দেয়। তদন্তের ক্ষেত্রে যে ধরনের অনিয়ম হয়ে থাকে, সেগুলোর ভুল সামনে আসার পর যেন আর ভুল না হয়, সে বিষয়ে সর্তক থাকতে হবে।
তদন্ত তদারকি কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি দ্রুততর সময়ের মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, সাক্ষীর উপস্থিতি বাড়ানো, আলামত হাজির করা, আলামত নিষ্পত্তি ইত্যাদি বিষয়ে তাগিদ ও দিকনির্দেশনা দেন।
সিএমএম এ সময় পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী, চোর, ছিনতাইকারীসহ অন্য পেশাদার অপরাধীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাগুলো বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এই ধরনের মামলা তিনি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে খুব স্বল্পসময়ে বিচার নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন থানার ২৫ জন ওসি, বিভিন্ন জোনের ডিসি, পিবিআই, র্যাব, দুদক, মাদক, কারা কতৃপক্ষ, পিপি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, বিভিন্ন হাসপাতালের পরিচালকদের প্রতিনিধি ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৩ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০২২
কেআই/এমজেএফ