ঢাকা: ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে পুলিশ সদর দফতরের সাপ্লাই শাখার এআইজি (এসপি পদমর্যাদা) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকীর বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) এক নারী মামলাটি দায়ের করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামী ৮ মে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
বুধবার বাদীপক্ষের আইনজীবী রাজু হাওলাদার পলাশ মামলার বিষয়টি জানান।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালে মহিউদ্দিন ফারুকীর সঙ্গে ওই নারীর ফেসবুকের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয়। তারা আগস্ট মাসে একটি রেস্টুরেন্টে দেখা করেন। মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীকে জানান, তার স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো না। তাকে বিয়ে করলে তিনি স্ত্রীকে তালাক দেবেন। ওই নারী প্রথমে তার প্রস্তাব নাকচ করেন। এরপর মহিউদ্দিন ফারুকী তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে লিপ্ত হতে প্রলুদ্ধ করেন তাকে। ৩০ সেপ্টেম্বর মহিউদ্দিন ফারুকী হঠাৎ করে ওই নারীর বাসায় যান। এরপর বিভিন্ন অজুহাতে তিনি বাসায় যাতায়াত করেন।
গত ৯ অক্টোবর মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। এরপর ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ওই নারীর জন্মদিনে মহিউদ্দিন ফারুকী তাকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করান। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মহিউদ্দিন ফারুকী ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে থাকেন। পরে ১৭ মার্চ ওই নারী তাকে প্রেগনেন্সির কথা জানান।
এদিকে চিকিৎসক তাকে ভিটামিন ও আয়রন ট্যাবলেট গ্রহণের পরামর্শ দেন। ১৮ মার্চ মহিউদ্দিন ফারুকী তার জন্য কিছু ওষুধ নিয়ে আসেন। কৌশলে তা ওই নারীকে খাওয়ান। রাতে তার পেটে ব্যথা হয়। পরদিন সকালে এসে মহিউদ্দিন ফারুকী আবার তাকে ওষুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে মহিউদ্দিন ফারুকী অকপটে স্বীকার করেন ওষুধগুলো গর্ভপাতের ওষুধ।
এরপর ২০২১ সালের ১৬ এপ্রিল ওই নারী আবারও গর্ভবতী হওয়ার খবর পান। ২৮ এপ্রিল মহিউদ্দিন ফারুকীকে এ খবর দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হুমকি দেন মহিউদ্দিন ফারুকী। ওই নারী তাকে বিয়ে করতে বলেন। না হলে আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান। পরে ৬ জুন তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের একটি সন্তান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২২
কেআই/এমজেএফ