গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে শাশুড়ি ও তিন শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় জামাই আজাদ মোল্যকে (৫০) মুত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
দীর্ঘ আট বছর পর বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন। এ সময় আদালতে আসামি উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রান্ত আজাদ জেলা সদর উপজেলার চর মানিকদাহ গ্রামের বেলায়েত মোল্যার ছেলে।
পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল যাদের, তারা হলেন- একই উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার গাজীর স্ত্রী ফুরিয়া বেগম (৭০), তার তিন নাতি তামিম (৭), আমিনুর সরদার (১৪) ও তনীমা (৫)। তারা নানাবাড়িতে থেকে পড়াশোনা করতো।
২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল দিনগত রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রামে পুড়িয়ে হত্যার এ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, নিহত ফুরিয়া বেগমের বড় মেয়ের সরিফা বেগমের স্বামী আজাদ মোল্যার সঙ্গে পারিবারিক কলহ চলছিল। এর জেরে সরিফাকে হত্যার উদ্দেশে ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল রাতে বাড়িতে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান আজাদ। আগুনে পুড়ে শাশুড়ি ফুরিয়া, আজাদের স্ত্রীর বোনের ছেলে আমিনুর ও তামিম ঘটনাস্থলে এবং গোপালগঞ্জ হাসপাতালে বোনের মেয়ে তনীমার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৮ এপ্রিল মৃত ফুরিয়ার ছেলে সাইফুল গাজী একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বুধবার এ রায় দেন বিচারক।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান পিটু, এপিপি অ্যাডভোকেট শামছুন্নাহার ও অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান খোকন। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. ফরহাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এসআরএস