ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে করা মামলায় সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
মঙ্গলবার (১৭ মে) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
এ দিন আদালতে দুদকের পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং। সময় আবেদনে বলা হয়, মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন অন্য মামলায় ব্যস্ত থাকায় সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হতে পারেননি।
সেই আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ৯ জুন সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ৬ এপ্রিল একই আদালত নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। একইসঙ্গে ১৭ মে সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন আদালত।
২০২১ সালের অক্টোবরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক পরিচালক বেনজীর আহম্মেদ নাজমুল হুদাকে অভিযুক্ত করে এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেন। একই বছর ২৪ নভেম্বর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ মামলার চার্জশিট গ্রহণ করে মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৯ এ বদলির আদেশ দেন।
২০২০ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়-১-এ নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় এস কে সিনহার বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে হওয়া একটি মামলা উচ্চ আদালতে ডিসমিস করার পরও প্ররোচিত হয়ে মামলাটির রায় পরিবর্তন করা হয়। মামলাটি ডিসমিস করতে দুই কোটি টাকা ও অন্য একটি ব্যাংক গ্যারান্টির আড়াই কোটি টাকার অর্ধেক ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা উৎকোচ চান এস কে সিনহা।
পরে মামলাটি তদন্তের জন্য দুদকে আসে। দেড় বছর তদন্ত করে এস কে সিনহার বিরুদ্ধে নাজমুল হুদার মামলাটি মিথ্যা অভিযোগে করা হয়েছে বলে প্রমাণিত হয়েছে দুদকের। আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে উল্টো ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার বিরুদ্ধেই মামলা করে দুদক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
কেআই/এমজেএফ