ঢাকা: প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সাভারে দশম শ্রেণির ছাত্রী নীলা রায় (১৪) হত্যা মামলার চার্জ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ১৩ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইসমত জাহানের আদালতে মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
মিজানুরের পক্ষে তার আইনজীবী এ কে ব্যানার্জী চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির পরবর্তী এ তারিখ ধার্য করেন।
আসামিরা হলেন—মিজানুর রহমান, তার বন্ধু সাকিব হোসেন ও সেলিম পাহলান।
এ দিন মিজানুরের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী এ কে ব্যানার্জী।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘মিজানুর সম্পূর্ণ নির্দোষ, নিরাপরাধ। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়রানির জন্য তাকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন। মামলায় সাক্ষী আসবে কিনা, বিচার কবে শেষ হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। মিজান উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া মেধাবী ছাত্র। মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তার শিক্ষাজীবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আইনগত দিক বিবেচনায় যে কোনো শর্তে তার মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি। ’
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
২০২০ সালে ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা রায় ও তার ভাই অলক রায়ের পথরোধ করে বখাটে মিজানুর রহমান। ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে গিয়ে নিকটস্থ তার নিজ পরিত্যক্ত বাড়ির একটি কক্ষে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান মিজানুর। পরে রাতে সাভারের এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নীলার বাবা নারায়ণ রায় ২১ সেপ্টেম্বর মিজানুর রহমান, তার বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে সাভার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস মিজানুর, সাকিব ও সেলিমকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মিজানুরের বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের অব্যাহতির আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
কেআই/এমজেএফ