ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

না.গঞ্জে স্কুলছাত্র ধ্রুব চন্দ্র দাস হত্যা

দোষ স্বীকার ৩ আসামির , আরও ৩ জন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
দোষ স্বীকার ৩ আসামির , আরও ৩ জন রিমান্ডে স্কুলছাত্র ধ্রুব চন্দ্র দাস -ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার ইসদাইরে ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্র ধ্রুব চন্দ্র দাস (১৬) হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩ জন আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এছাড়া গ্রেফতার বাকি ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কাওসার আলমের আদালতে গ্রেফতার রিপন এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শামসুর রহমানের আদালতে গ্রেফতারত রুদ্র চন্দ্র দাস ও অন্তু চন্দ্র শীলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এছাড়া নারী ও শিশু আদালতে গ্রেফতার বাকি ৩ জন ইয়াসীন, পিয়াস দাস ও জয় চন্দ্র দাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত শুনানি শেষে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে নিহতের বাবা মাধব চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১৮ মে মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলো- ফতুল্লা থানার ইসদাইর বাজার এলাকার মো. মিঠুর ছেলে ইয়াসিন (১৬), ইসদাইর উকিলের বাড়ির লিটন দাসের ছেলে পিয়াশ দাস (১৬), বলয় চন্দ্র রায়ের ছেলে রিপন (১৭), উজ্জল চন্দ্র দাসের ছেলে রুদ্র চন্দ্র দাস (১৬), বিমল চন্দ্র শিলের ছেলে অন্তু চন্দ্র শীল (১৬), শ্যামল চন্দ্র দাসের ছেলে জয় চন্দ্র দাস (১৭), প্রাণতোষের ছেলে প্রভাত (১৬), একই এলাকার তুহিন (২১), ফয়সাল (২১) ও হিমেল (১৯)।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, বাদীর একমাত্র ছেলে ধ্রুব চন্দ্র দাস ফতুল্লা থানার ইসদাইরস্থ রাবেয়া স্কুলে ১০ম শ্রেণির ছাত্র। সোমবার (১৭ মে) সন্ধ্যার সময় ধ্রুব নিজ বাসায় বসে লেখাপাড়া করছিল। রাত ৮টার দিকে সহপাঠী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস এসে আরেক এক সহপাঠীর জন্মদিনের গিফট কেনার কথা বলে তাকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা রাবেয়া স্কুলের সামনে রাস্তায় পৌঁছালে শ্রী রিপন ও রুদ্র চন্দ্র দাস এবং অভিযুক্ত আসামিরাসহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন চাকু, সুইচ গিয়ার, লোহার পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ধ্রুবকে পরিকল্পিতভাবে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে হাতে থাকা লোহার পাইপ দিয়ে তাকে পেটাতে থাকে। তখন অভিযুক্ত ইয়াসিন ধ্রুবকে ছুরিকাঘাত করেলে সে রাস্তায় পড়ে যায়। সংবাদ পেয়ে বাদীর ছোট ভাই মিঠুন চন্দ্র দাস ও তুষার তাকে রক্তাক্তবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ঢামেক)  হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বাদীসহ স্বজনেরা ধ্রুবকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে দ্রুত ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত সোয়া ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনার পরপর ৬ জনকে গ্রেফতার করে। তারা হলো- ফতুল্লা থানার ইসদাইর এলাকার ইয়াসীন (১৫), পিয়াস দাস (১৫), অন্ত চন্দ্র শীল (১৫), রিপন চন্দ্র, জয় চন্দ্র দাস (১৭) ও রুদ্র চন্দ্র দাস (১৬)।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ রিয়াজুল হক দিপু জানান, নিহত স্কুলছাত্রের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ এজাহারনামীয় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মধ্যে ৩ জন আদালতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। বাকি ৩ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০২২
এমআরপি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।