ঢাকা: দেশের বিভিন্ন জেলা ও মহানগর পর্যায়ের আইন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। কিন্তু সেই মতবিনিময় সভা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আসন্ন নির্বাচনের প্রচারণা সভায় পরিণত হয়।
শনিবার (২১ মে) বেলা ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মতবিনিময় সভা শুরু হয়।
শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন- আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারোয়ার। এরপর মামলাজট নিরসনে দেশের ৮ বিভাগ থেকে ১৬ আইন কর্মকর্তাকে মতামত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়।
শুরুতেই ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু নির্বাচনী প্রচারণায় বক্তব্য শুরু করেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা এ পদে আছি। আমরা এ সরকারের সুবিধাভোগী। তাই আসন্ন নির্বাচনে সাদা প্যানেলকে জেতানো আমাদের কর্তব্য। সব ভেধাভেদ ভুলে কাজ করতে হবে৷
এ আলোচনার ধারাবাহিকতায় অধিকাংশ আলোচক বিষয়বস্তুর উপর বক্তব্য না দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে কথা বলেন। বিষয়বস্তুর বাহিরে বক্তব্য দেওয়ায় মন্ত্রীকেও বিব্রত হতে দেখা যায়। এমনকি আলোচকদের কেউ নির্বাচনী প্রচারণা না চালালে সামনে থেকে সহকর্মীরা কথা বলতে চাপ প্রয়োগ করেন।
বগুড়ার জেলা জিপি কামরুন নাহার বেগমকে এমন চাপ প্রয়োগ করতে দেখা যায়৷ শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিনি ভোট চান।
তবে বগুড়ার জিপি ছাড়াও, খুলনা, যশোর, ময়মনসিংহ বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা মামলাজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দেন৷ যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দরখাস্ত দিয়ে সময় ক্ষেপণ না করা, সাক্ষীদের সঠিক সময়ে হাজির করা, বিচারক সংখ্যা বাড়ানো, দেওয়ানী কার্যবিধির ১৫১ ও তামাদী আইনের ৫ ধারার প্রয়োগ সীমাবদ্ধ করা, আইন কর্মকর্তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো, সরকারি আইন কর্মকর্তাদের সহায়ক কর্মকর্তা কর্মচারী প্রদান ইত্যাদি পরামর্শ দেন তারা৷
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২২
কেআই/জেডএ