ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিম রোববার (২২ মে) আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে এসেছেন। দুপুরে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক শহিদুল ইসলামের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইবেন তিনি।
হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণনাথ বলেন, হাজী সেলিম আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে আসছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি পৌঁছাবেন। আমরা তার পক্ষে আপিলের শর্তে বা যেকোনো শর্তে জামিন আবেদন চেয়েছি।
হাজী সেলিমের আগমন উপলক্ষে ঢাকা এজলাস কক্ষের বাইরে ও আদালতের প্রবেশ মুখে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। এ সময় আদালতের বাইরে নেতাকর্মীরা ভিড় করেন।
গত ৯ মার্চ অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১৩ বছর সাজা কমিয়ে ১০ বছর কারাদণ্ড বহাল রেখে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
রায়ে তিন বছরের দণ্ড থেকে খালাস পান হাজী সেলিম। দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর ৬৮ পৃষ্ঠার রায়ের কপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। এ সময়ের মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে তার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
তবে গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যায় থাইল্যান্ডের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন হাজী সেলিম। আদালতের দণ্ড মাথায় নিয়ে হাজী সেলিম দেশ ছাড়ায় শুরু হয় বিতর্ক। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, হাজী সেলিম জরুরি চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে গিয়েছিলেন। আইন মেনেই বিদেশে গেছেন এবং আইন মেনেই আবার চলে এসেছেন।
এরপর গত ৫ মে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফিরেন হাজী সেলিম। দেশে ফিরেই লালবাগে তার নির্বাচনী এলাকার শাহানি বেগম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার জানাজায় অংশ নেন। পরে লালবাগ থেকে আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে স্ত্রীর কবর জিয়ারত করেন তিনি।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ৫৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৬ হাজার ১৩২ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২২
কেআই/আরবি