পাবনা: পাবনার ঈশ্বরদীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মিঠুন হত্যা মামলায় এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ মে) দুপুরে পাবনার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট ঈশ্বরদী উপজেলার শৈলপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিঠুন কাজের উদ্দেশে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। এর পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। আটদিন পর ঈশ্বরদীর সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের পাশের জঙ্গল থেকে মিঠুনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
খবর পেয়ে মিঠুনের পরিবারের সদস্যরা পোশাক দেখে মরদেহটি মিঠুনের শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহত মিঠুনের বাবা আব্দুল মজিত প্রামাণিক অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিকাশ চক্রবর্ত্তী জানান, মামলা দায়েরের পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সাগর ও জবা দম্পতিকে চিহ্নিত করা হয়। তাদের আটক করা হলে তারা আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে আসামি জবা খাতুনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। মামলার অপর আসামি জবার স্বামী সাগর মামলা চলাকালীন জেলহাজতে মারা যায়।
কি কারণে রিকশাচালক মিঠুনকে হত্যা করা হয়েছে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক (এসআই) বিকাশ চক্রবর্ত্তী জানান, সাগর ও জবার বাড়ি নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার পুরাতন ঈশ্বরদীর বিদিক মোড় এলাকায়। সাগর ও জবার একটি তিন বছরের সন্তান ছিল। তাদের সংসারে ছিল অভাব অনটন। মূলত মিঠুনের অটোরিকশা ছিনতাই করতেই তাকে হত্যা করা হয়। মামলার বাদীর মেয়ে জামাই জানান তারা এই রায়ে খুশি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২২
আরএ