মেহেরপুর: মাথা, হাত ও গলায় রক্তমাখা ব্যান্ডেজ করে আদালতে এসে মিথ্যা মামলা করতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন বাদী। অবশেষে তারা ঠিকানা হয়েছে কারাগারে।
রোববার (২৯ মে) মেহেরপুর আমলি আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহর আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় আদালত মিথ্যা মামলা দায়ের করতে আসায় বাদীর বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মো. মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, আসামিরা ৬ জন মিলে ধারালো রাম দা, হাসুয়া, বটি এবং রড দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা, গলা এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাম দা ও হাসুয়ার কোপে মাথা রক্তাক্ত ও হাড় ভেঙে গেছে। এছাড়া গলা এবং হাতে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। তাই তিনি নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে এসেছেন। আদালতে হলফ করে তিনি ঘটনার এমন বর্ণনা দেন।
কিন্তু আঘাতের বর্ণনা এবং হামলার ধরন শুনে আদালতের সন্দেহ হয়। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর বিচারক এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ্ তার আঘাত দেখতে চান। তখন তার মাথা, গলা এবং হাতের ব্যান্ডেজ খুলে দেখা যায় তার শরীরে এমন কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই, আছে সামান্য আঁচড়ের মতো চিহ্ন। এছাড়া চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্র দেখেও বাদীর বর্ণনা মিথ্যা মর্মে প্রতীয়মান হয় বিধায় আদালত মামলাটি ফৌজদারি কার্যবিধির ২০৩ ধারায় খারিজ করে দেন। সেই সঙ্গে মিথ্যা মামলা এবং হলফ করে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে বাদীকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৬ ঘণ্টা, ৩০ মে, ২০২২
এমএমজেড