ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

শুধু বাসই চালাননি রাজা মিয়া, করেছেন লুট-ধর্ষণও 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
শুধু বাসই চালাননি রাজা মিয়া, করেছেন লুট-ধর্ষণও 

টাঙ্গাইল: রাজা মিয়া ঈগল পরিবহনের বাসটি শুধু চালিয়েছেন, তা নয়, তিনি ডাকাতি ও ধর্ষণ উভয় অপরাধেই অংশ নিয়েছেন। আর শুধু লুট করায় অংশ নিয়েছেন গ্রেফতারকৃত অপর দুই আসামি মো. আওয়াল ও নুরনবী।

 

শনিবার (৬ আগস্ট) আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে এসব অপরাধের কথা স্বীকার করেন তারা। জবানবন্দি শেষে তিনজনকেই রাত সাড়ে ৮টায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে ছেড়ে আসা ঈগল পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাজা মিয়াকে (৩২) গত বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মো. আওয়াল (৩০) ও নুরনবীকে (২৬) শুক্রবার সকালে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। রাজা মিয়াকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ডিবি পুলিশ সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদকালে তিন আসামি বাস ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনার পুরো বিবরণ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করেছেন। তারা আদালতে জবানবন্দি দিতেও রাজি হন। পরে তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার জন্য শনিবার বিকেলে টাঙ্গাইল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা ডিবি পুলিশের (ডিবি উত্তর) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, জবানবন্দিতে আসামিরা ডাকাতি ও গণধর্ষণের বর্ণনা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আসামি রাজা মিয়া ধর্ষণ এবং লুণ্ঠন উভয় অপরাধে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। অপর দু’জন আওয়াল ও নুরনবী জবানবন্দিতে শুধু ডাকাতিতে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানবীর আহম্মদ জানান, রাজা মিয়া ও নুরুনবী জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. শামসুল আলম। আর মো. আওয়ালের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুমি খাতুন।  

বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।