ঢাকা: আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দিতে শুরু করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড (পিএলএফএসএল)।
উচ্চ আদালতের অনুমতি নিয়ে এ পর্যন্ত ১৪ কোটি এক লাখ ১২ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ অনুমতি দেন।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই মামলার শুনানি শেষে অবসায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন আদালত। এছাড়া অবসায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজনকে অবসায়ক নিয়োগ দিতে বলা হয়। পরে সাময়িক অবসায়ক হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পরে ২০১ জন আমানতকারী একটি আবেদন করেছিলেন। আবেদনে তারা বলেছেন, পিপলস লিজিংকে রিভাইভ বা রিকনস্ট্রাক্ট করা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বক্তব্য শোনার পর আদালত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পিপলস লিজিং রিভাইভ করা হবে।
গত বছরের ২৮ জুন আদালত পিপলস লিজিং পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন পরবর্তীতে একটি বোর্ড গঠন করে দেন।
এরপর ঋণ খেলাপিদের আদালতে হাজির হতে বলেন। অনেকে হাজির হন। কিন্তু যারা হাজির হননি তাদের আটক করে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পিপলস লিজিংয়ের আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান জানান, আদালত গঠিত বোর্ড ইতোমধ্যে অনেক কাজ করেছে। তার ধারাবাহিকতায় ১ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫৮২ জন ক্ষুদ্র আমানতকারীর টাকা পিপলস লিজিংয় ফেরত দিয়ে দেবে। মোট অর্থের পরিমাণ ৩ কোটি ৭০ লাখ ৫৮ হাজার ৭৩৯ টাকা। হাইকোর্ট আজকে এটার অনুমতি দিয়েছেন।
এর আগে হাইকোর্টের আদেশ ছিলো মানবিক কারণে কোনো কোনো আমানতকারীর টাকা ফেরত দিতে পারবে বোর্ড। যেমন মুক্তিযোদ্ধা, বৃদ্ধ, অসুস্থ ইত্যাদি। এই আদেশ অনুসারে ১৪ কোটি ৯১ লাখ ১২ হাজার টাকা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০২২
ইএস/এসএ