ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
সাতক্ষীরায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

সাতক্ষীরা: যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী আজগার আলীকে (৫০) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।  

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এমজি আযম এক জনাকীর্ণ আদালতে এ নির্দেশ দেন।

 

সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজগার সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুরের এন্তাজ সরদারের ছেলে আজগার আলীর সঙ্গে সদর উপজেলার গোবরদাড়ি গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে রেহেনা পারভিনের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস না যেতেই ৮০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীবে নির্যাতন করতে শুরু করে আজগার ও তার পরিবারের সদস্যরা। একপর্যায়ে বাপের বাড়ি থেকে যৌতুকের ৮০ হাজার টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় ১৯৯৭ সালের ২০ এপ্রিল বিকেল ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে নিজ বাড়িতেই স্ত্রী রেহেনাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের চাচা শওকত আলী সরদার বাদী হয়ে আজগার, তার ভাই রুহুল কুদ্দুসসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দেন।

১৯৯৮ সালে আসামি আজগার ও তার ভাই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ (ক) ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে আসামি কুদ্দুস মারা যান। আসামি আজগারও পলাতক থাকেন।  

মামলার নথি, ১২ জন সাক্ষীর জেলা ও জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে পলাতক আসামি আজগারের নামে স্ত্রীকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এমজি আযম তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।

আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন অ্যাডভোকেট বসির। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহরুল হায়দার বাবু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।