ঢাকা: মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় ১৭৭ নেতাকর্মীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে হাজির হয়ে আবেদনের পর রোববার (২ অক্টোবর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. কামাল হোসেন।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে বিএনপির তিন নেতাকর্মী হত্যার বিচার দাবিতে ২১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের মুক্তারপুর এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
পরদিন এ ঘটনায় গুরুতর আহত যুবদল কর্মী শাওন ভূঁইয়া (২২) ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৯টার দিকে মারা যান।
ঘটনার পরদিন গত ২২ সেপ্টেম্বর মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে ঘটনায় দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়।
একটি মামলায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে সরকারি অস্ত্র–গুলি লুট ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর অভিযোগে ৩১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতনকে।
অপরদিকে মুক্তারপুরে শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ ও মারধর করে গুরুতর জখম করার অভিযোগে মামলা করেন মুক্তারপুর বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ও শ্রমিক লীগের নেতা আবদুল মালেক। এ মামলায় সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়।
এসব মামলায় সদর থানা বিএনপির আহবায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, শহর বিএনপির আহবায়ক এ কে এম ইরাদত মানু, মীরকাদিম পৌরসভার আহ্বায়ক জসিমউদ্দিন, আইনজীবী ফোরাম ও জেলা বিএনপি নেতা মো. হালিম হোসেনসহ ১৭৭ জন নেতাকর্মীকে আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০২২
ইএস/আরআইএস