ঢাকা: এক যুগে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ডের সাড়ে এগারো’শ মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। আর এ সময়ে মৃত্যুদণ্ডের মামলা তথা ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে দেড় হাজারের মতো।
এমন তথ্য সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের। এদিকে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের অবকাশকালীন সময়েই নিষ্পত্তি হয়েছে ২৯টি ডেথ রেফারেন্স মামলা।
আইনজীবীরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক প্রস্তুত হলে মামলাটি শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে বলে ধরে নেওয়া হয়।
তবে কোনো কোনো মামলার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরি করা হয়।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি সাংবিধানিক অধিকার বলে আপিল বিভাগে সরাসরি আপিল করতে পারেন। আর সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১০৫ অনুযায়ী আপিলের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিউ আবেদনের আইনগত সুযোগ রয়েছে। রিভিউ নিষ্পত্তির পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯ এর অধীন রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতি উক্ত ক্ষমার আবেদন না মঞ্জুর করলে তখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আইনগত বৈধতা লাভ করে।
সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুসারে, ২০১০ সাল থেকে ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স আসে এক হাজার ৫৪৫টি। আর নিষ্পত্তি হয়েছে এক হাজার ১৫১টি। এরমধ্যে সর্বোচ্চ নিষ্পত্তি হয়েছে ২০১২ সালে। ওই বছর ১৪৫টি নিষ্পত্তি হয়েছে। আর চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত নিষ্পত্তি হয়েছে ১২৫টি মামলা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০২২
ইএস/জেডএ