ঢাকা:চাঁদপুর সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম খানের ছেলে শান্ত খানকে মেঘনা নদীর মোহনায় বাঁশগাড়ি মৌজা থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়ে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন,তা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১৯ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ স্থগিতাদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
শান্ত খানের মালিকানাধীন শান্ত এন্টারপ্রাইজ বাঁশগাড়ি মৌজা থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করে। হাইকোর্ট এ রিটে রুল জারি করেন। শুনানি শেষে রুল গ্রহণ করে শান্ত এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ২০২০ সালের ৫ মার্চ রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায় স্থগিত চেয়ে গত ২৮ জুলাই লিভ টু আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
দীর্ঘদিন পর রায় স্থগিতের আবেদন এবং রিট মামলায় রুলের জবাব না দেওয়ায় সরকারি কর্মকর্তাদের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
শুনানি শেষে হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে ১৫ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মেঘনা নদীতে (চাঁদপুর সদর ও হাইমচরে অবস্থিত ২১টি মৌজা এলাকায়) জনস্বার্থে নিজ খরচে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করতে নির্দেশনা চেয়ে ২০১৫ সালে রিট করেছিলেন শান্ত খানের বাবা চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম খান। ওই রিটে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে চাঁদপুরের ২১টি মৌজায় অবস্থিত মেঘনার ডুবোচর থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিতে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়।
চলতি বছরের ১৫ মার্চ হাইকোর্টের দেওয়া ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে।
গত ৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিলেন,তা ২৯ মে বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৯, ২০২২
ইএস/এসআই