ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার সংস্থাটির পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (২২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্তা আক্তার তাদের এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রাজধানীর দক্ষিণখান থানার সাধারণ ডায়েরি (জিডি) মূলে শনিবার তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন—আওলাদ হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনামুল হক, মো. হারুন-অর-রশিদ ও মাহফুজুল আলম।
শুক্রবার বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা ছিল। বিমানে জুনিয়র অপারেটর জিএসই, জুনিয়র টেইলার কাম আপহোলস্টার, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের লক্ষ্যে এ পরীক্ষা নেওয়ার কথা ছিল। তবে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি জানার পর পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইনস।
এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে ডিবির লালবাগ বিভাগ। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারদের কাছ থেকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের ফটোকপি, প্রশ্নপত্র বিক্রির ২৫ হাজার টাকা এবং ফাঁস হওয়া প্রশ্নের অনলাইনে আদান প্রদানের তথ্য সম্বলিত বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, একটি অসাধুচক্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর যোগসাজশে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে। পরে নিয়োগপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ফটোকপি/সফটকপি বিক্রি করে। অবৈধ অস্ত্র-উদ্ধার ও মাদক নিয়ন্ত্রণ টিম অভিযান পরিচালনা করে সেই চক্রের এই ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার ব্যক্তিরা জানান তারা ছাড়াও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের আরও কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রশ্ন ফাঁস প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। এ চক্রের সঙ্গে পলাতক মাসুদ ডিজিএমের (সিকিউরিটি) গাড়িচালক এবং পলাতক মাহবুব আলী ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়িচালক জড়িত।
হারুন অর রশিদ বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়োগ কমিটি এবং প্রশ্ন প্রণয়ন কার্যক্রমে পরিচালক প্রশাসন, জিএম প্রশাসন, ডিজিএম সিকিউরিটি, ম্যানেজারসহ দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা সম্পৃক্ত থাকেন। তারপরও এ ধরনের প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
কেআই/এমজেএফ