বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে চার যুবকের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া রায়ে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
রোববার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে আসামি ও বাদী পক্ষের লোকজনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- ধুনটের নছরতপুর গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে বাপ্পী আহম্মেদ, দলিল উদ্দিনের ছেলে কামাল পাশা, ছানোয়ার হোসেন ছানার ছেলে শামিম রেজা ও মৃত সাহেব আলীর ছেলে লাভলু শেখ।
১১ মাসে বিচার কাজ শেষ করে রায় ঘোষণা দিয়ে দৃষ্টান্তস্থাপন করেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ধুনটের নছরতপুর গ্রামে বেলাল হোসেন ও তার স্ত্রী মরিয়ম ডেইজি পোশাক কারখানার কর্মী হওয়ায় ঢাকায় বসবাস করতেন। তাদের একমাত্র শিশু কন্যা মাহি উম্মে তাবাছুম (৭) গ্রামে দাদা-দাদির কাছে থাকতো।
২০২০ সালে ১৪ ডিসেম্বর রাতে বাদীর পরিবারের সবাই নছরতপুর পশ্চিমপাড়ায় ওয়াজ মাহফিল শুনতে যান। রাত ১০টার দিকে ওয়াজ মাহফিল থেকে মাহি পাশের দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। রাত দেড়টার দিকে গ্রামের একটি বাঁশ ঝাড়ে মাহির মরদেহ পাওয়া যায়। পরদিন ধুনট থানায় বেলাল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের নামে মামলা করেন। মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেন।
ধুনট থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক মামলাটি তদন্ত শেষে গত বছরের ২৫ নভেম্বর আদালতে ৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের স্পেশাল পিপি আশেকুর রহমান জানান, অল্প সময়ের মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করায় বাদী পক্ষ খুশি। আসামিদের আদালত থেকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
কেইউএ/এএটি