ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

জয়নাল হত্যা: ২ আসামির আমৃত্যু, ৯ জনের যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
জয়নাল হত্যা: ২ আসামির আমৃত্যু, ৯ জনের যাবজ্জীবন

সিলেট: সিলেটের সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুরে পরিবহন শ্রমিক নেতা জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলায় দুই আসামির আমৃত্যু ও ৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ইব্রাহিম মিয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

 

আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জৈন্তাপুর উপজেলার করগ্রামের মৃত ছয়ফুল আজম পাটোয়ারীর ছেলে মামুন আহমদ (৩২) ও একই উপজেলার মানিকপাড়ার আব্দুস সাত্তারের ছেলে কবির আহমদ (৪০)।  

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার করগ্রামের মৃত ছয়ফুল আজম পটোয়ারীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩৫), তার সহোদর আখলাকুল আম্মিয়া (৪৫), পার্শ্ববর্তী চাল্লাইন গ্রামের মুজম্মিল আলীর ছেলে আলী আহমদ উরফে আলী (২৯), একই গ্রামের মৃত আছদ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান (৩৬), উপর মহাইল গ্রামের মঈন উদ্দিনের ছেলে আলীম উদ্দিন (২৬), একই গ্রামের মাহমুদ আলীর ছেলে রাহিন আহমদ (৩০), চাল্লাইন গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জমির উদ্দিন (৪১), করগ্রামের নূরুল হকের ছেলে সুহেল আহমদ (২৪), খলাগ্রামের আফতাফ হোসেনের ছেলে ইশবাল আহমদ (২২)।

মামলা থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন- উপজেলার করগ্রামের মৃত ছয়ফুল আজম পাটোয়ারীর ছেলে আমৃত্যু কারাদন্ডপ্রাপ্ত মামুন আহমদের ভাই মুহিবুল হক (৩৮)। তাদের ৭ পলাতক থাকলেও বাকি আসামীরা কারাগারে রয়েছেন।  

মামলার বরাত দিরয় আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত অটোটেম্পু চালক শ্রমিক ইউনিয়নের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে অফিস কক্ষে জয়নালকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা জৈন্তাপুর থানার দরবস্ত ফান্দু গ্রামের মো. মনোফর আলী বাদী হয়ে ১২ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা (নং-০৬(৯)১৪) দায়ের করেন।  

দীর্ঘ তদন্ত শেষে জৈন্তাপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত পাল ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ ১২ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট)দাখিল করেন।

২০১৬ সালের ১০ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলার বিচার শুরু হয়। দীর্ঘ শুনানিতে ৩০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতের বিচারক ৩০২/৩৪ ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন।  

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট লুৎফুর কিবরিয়া শামীম।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০২২
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।