ফরিদপুর: হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি প্রার্থী শাহদাব আকবর চৌধুরী লাবুর নামে মামলা করেছেন নগরকান্দা পৌরসভার মেয়র নিমাই চন্দ্র সরকার। শাহদাব চৌধুরী লাবু একই আসনের সাবেক এমপি এবং জাতীয় সংসদের উপনেতা প্রয়াত সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছোট ছেলে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৪ নং আমলি আদালতে এই মামলা করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোহাম্মদ লিয়াকত মিয়া, মোহাম্মদ নাসির মাহমুদ ও মো. শহিদুল ফকির। তাদের সবার বাড়ি নগরকান্দা ও সালথা উপজেলায়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ফারুক হোসেনের পক্ষে কাজ করেন নিমাই চন্দ্র সরকার। আর এমপি প্রার্থী লাবু চৌধুরীসহ আসামিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাৎ হোসেনের পক্ষে কাজ করেন। আসামিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাতের পক্ষে কাজ করতে এবং চশমা প্রতীকে ভোট দিতে বলেন মেয়র নিমাই চন্দ্রকে। কিন্তু তিনি (মেয়র) প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার প্রার্থীর পক্ষে অবস্থাননেন। এ ঘটনায় আসামিরা তার ওপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। কিন্তু বিষয়টি যাতে প্রকাশ না পায় সে কারণে আসামিরা তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করে। ১ নং আসামি তাকে হত্যার হুকুম দেন। সেই মোতাবেক ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৫ অক্টোবর বাদী উপজেলা থেকে নিজ অফিসে ফেরার পথে বিকেল পৌনে তিনটার দিকে বঙ্গবন্ধু পাবলিক লাইব্রেরির সামনে পৌঁছালে ১ নং আসামির হুকুমে ও ষড়যন্ত্রে আগে থেকেই ২, ৩ ও ৪ নং আসামি পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তাকে খুন করার জন্য মোটরসাইকেল চাপা দিতে গেলে তিনি সরে যান এবং প্রাণে রক্ষা পান। ঘটনাটি সঙ্গে সঙ্গে তিনি প্রশাসন ও দলীয় বিভিন্ন স্তরে জানান বলে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়।
বাদীর আইনজীবী অ্যাড. বিশ্বজিৎ গাঙ্গুলি জানান, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪ নং আমলি আদালতে মামলাটি জমা ও ফাইল করা হয়েছে। বিচারক ফরিদ আহমেদ বাদীর জবানবন্দি নিয়েছেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নগরকান্দা সিআর ৩২৯/২২ ক্রমিকে রেকর্ড করেন এবং আগামী ৯ নভেম্বর মামলার অভিযোগকারী বাদী এবং সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এ বিষয়ে নগরকান্দা পৌর মেয়র নিমাই সরকার অভিযোগ করেন, তাকে হত্যা করে ফেলা হবে বলে আসামিরা হুমকি দিচ্ছেন। এ ঘটনার পর বিষয়টি তিনি প্রশাসন ও দলের বিভিন্ন স্তরে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানতে আসামি লাবু চৌধুরীর সঙ্গে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এমএমজেড