ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জে একজনের মৃত্যুদণ্ড

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে হত্যা মামলায় মহানন্দ তালুকদার (৪৯) নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এ সময় আসামিরা আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।  

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরের দিকে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় ঘোষণা করেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মহানন্দ তালুকদার গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ জলিরপাড় গ্রামের পঞ্চানন তালুকদারের ছেলে।  

বেকসুর খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মহানন্দ তালুকদারের ভাই আনন্দ তালুকদার, স্ত্রী মেনুকা তালুকদার ও সহযোগী স্বপন মৃধা।  

মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিগত ২০০৮ সালের ২৯ মে বিবেক শাখারীর স্ত্রী শিবানী রানী শাখারী একটি এনজিও থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে স্বামীর হাতে তুলে দেন। বিবেক শাখারী তাস দিয়ে জুয়া খেলতে অভ্যস্ত ছিল। তার জুয়া খেলার সঙ্গী মহানন্দ তালুকদারসহ অন্যান্যরা জানতে পারে- বিবেকের কাছে ১০ হাজার টাকা আছে। তারা এই টাকা ছিনিয়ে নিতে বিবেককে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করে মরদেহ একটি পাট ক্ষেতে ফেলে রাখে। পরদিন ৩০ মে পুলিশ বিবেকের মরদেহ ওই পাট ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বিনয় শাখারী বাদী হয়ে ৩০ মে মহানন্দ তালুকদারসহ চারজনকে আসামি করে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিম পটোয়ারী ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ৪ আসামির নামে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন।  

সাক্ষ্য প্রমাণ নেওয়া শেষে বিচারক মহানন্দ তালুকদারকে দোষী সাব্যস্ত করে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করেন।  

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) মো. শহিদুজ্জামান খান ও আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট শওকত আলী সিকদার মামলাটি পরিচালনা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।