ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনু নামে এক গৃহবধূকে হত্যা মামলায় মোট ৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) ঢাকার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক ফাতিমা ইমরোজ কনিকার আদালতে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল।
এদিন সাক্ষ্য দেন বাড্ডা থানাধীন ডিআইটি প্রজেক্টের ফারিয়া এন্টারপ্রাইজের কর্মচারী মো. হাসান। আগামী ২২ নভেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
গত ১ এপ্রিল ১৩ আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন একই আদালত। আজ সাক্ষ্য গ্রহণকালে ১৩ আসামির সবাই আদালতে হাজির ছিলেন।
আলোচিত এ হত্যা মামলার আসামিরা হলেন- ইব্রাহিম ওরফে হৃদয় মোল্লা, রিয়া বেগম ময়না, আবুল কালাম আজাদ, কামাল হোসেন, মো. শাহিন, বাচ্চু মিয়া, মো. বাপ্পি ওরফে শহিদুল ইসলাম, মুরাদ মিয়া, সোহেল রানা, আসাদুল ইসলাম, বেল্লাল মোল্লা, মো. রাজু ওরফে রুম্মান হোসেন ও মহিউদ্দিন।
জাফর হোসেন পাটোয়ারী ও ওয়াসিম আহমেদ অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২০ জুলাই বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মারা যান তাসলিমা বেগম রেনু। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫০০ জনের নামে হত্যা মামলা করেন তার ভাগ্নে সৈয়দ নাসির উদ্দিন টিটু।
গত বছরের ১০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল হক ১৩ জনের নামে চার্জশিট এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক দুইজনের নামে দোষীপত্র দাখিল করেন।
সময়: ১৮১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০২২
কেআই/এমএমজেড