ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেফতার মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
অস্ত্র মামলায় হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (২ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। তিনি জানান, রোববার চেম্বার আদালতে এ আবেদেনের ওপর শুনানি হবে। ওইদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন।
২০২০ সালের ২১ নভেম্বর সকালে রাজধানীর বাড্ডা এলাকার নিজ বাসা থেকে গোল্ডেন মনিরকে আটক করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০ দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ও নগদ এক কোটি নয় লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
এছাড়া তার বাড়ি থেকে অনুমোদনহীন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়, যার প্রতিটির বাজারমূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তার ‘অটো কার সিলেকশন’ নামে গাড়ির শোরুম থেকে আরও তিনটি অনুমোদনহীন বিলাসবহুল গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। তবে প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেছেন মনির।
এর আগেও গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এবং রাজউকের একটি মামলা রয়েছে। মনির মূলত একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও স্বর্ণের চোরাকারবারি। এ থেকেই মনির পরিচিতি পান ‘গোল্ডেন মনির’ হিসেবে।
আটক করার পর র্যাব বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা ও মাদক আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে।
গত বছরের ২০ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতে অস্ত্র ও মাদকের দুই মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির গুলশান বিভাগের পরিদর্শক আব্দুল মালেক। পরে অস্ত্র মামলায় গত বছরের ২৩ আগস্ট অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ।
এ মামলায় বিচারিক আদালতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। গত ৩১ অক্টোবর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে।
আরও পড়ুন>>
>>> মনির যেভাবে হয়ে ওঠেন ‘গোল্ডেন মনির’
বাংলদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০২২
ইএস/আরআইএস