ঢাকা: পুলিশের চাকুরিচ্যুত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচার আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (০৯ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালতে সবশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।
তবে এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় আগামী ২০ নভেম্বর জেরার পরবর্তী দিন ধার্য করেন আদালত।
মামলাটিতে এ পর্যন্ত চার্জশিটভুক্ত ৩৩ সাক্ষীর মধ্যে ২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা ২৬তম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মাইনুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অপর আসামিরা হলেন, ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে মিজানের স্ত্রী পলাতক ও বাকি দুজন জামিনে রয়েছেন।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
অনুসন্ধান শেষে ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২২
কেআই/এমজেএফ