ঢাকা: ফেসবুকে ‘উসকানিমূলক পোস্ট’ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাস আপনকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের জামিন দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তাপস কান্তি বল।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্মীয় বিদ্বেষ বা উষ্কানিমূলক মন্তব্য করবেন না- এমন শর্তে তাকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তাপস কান্তি বল।
এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জের চিফ জুডিসিয়াল আদালতে তার জামিন নাকচ হয়।
গত ৩০ আগস্ট দিনভর শাল্লা থানা পুলিশ আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নিয়ে ঝুমন দাসকে গ্রেফতার দেখায়। পরদিন ৩১ আগস্ট তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৮ আগস্ট বিকেল ৩টার দিকে ঝুমন দাস ফেসবুকে একটি আপত্তিকর পোস্ট দিয়েছেন- এমন খবরে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়।
পরে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে নোয়াগাঁও গ্রামের বাড়ি থেকে ঝুমনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তার বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে গ্রেফতার দেখায়।
গত বছরের ১৬ মার্চ ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন ঝুমন দাস আপন। এদিন রাতেই ঝুমনকে আটক করে শাল্লা থানা পুলিশ। এর জের ধরে ১৭ মার্চ নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও পারিবারিক মন্দিরে হামলা চালানো হয়। পরে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ৬ মাস পর উচ্চ আদালতের মাধ্যমে জামিনে বের হয়ে আসেন ঝুমন দাস আপন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
ইএস