ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেতা ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও আমান উল্লাহ আমানের খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে আপিলের পুনঃশুনানি অব্যাহত রয়েছে।
রোববার (১৩ নভেম্বর) দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষে শুনানির পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি ও রায়ের জন্য আগামী সোমবার (১৪ নভেম্বর) দিন রেখেছেন।
আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু
৪ কোটি ৯৬ লাখ ১১ হাজার ৯১৬ টাকার সম্পত্তির হিসাব ও আয়ের উৎস গোপন করার অভিযোগে দুদকের উপ-পরিচালক শাহরিয়ার চৌধুরী ২০০৭ সালের মার্চে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী টুকুর বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
কমিশনের উপ-পরিচালক এসএমএম আখতার হামিদ ভূঞা ওই বছরের ২৮ জুন মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেন।
২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর বিচারিক আদালত এ মামলার রায়ে টুকুকে নয় বছরের কারাদণ্ড দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্ট ২০১১ সালের ১৫ জুন তাকে খালাস দেওয়া হয়।
হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির আদেশ দেন আপিল বিভাগ।
আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুর্নবিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে টুকু। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
আমানউল্লাহ আমান ও সাবেরা আমান
সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। ওই বছরের ২১ জুন বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের ও সাবেরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালের ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ২৬ মে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেওয়া হয়।
আপিল বিভাগের এ রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে টুকু। পরে সে আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ।
এরপর হাইকোর্ট বিভাগে এসব আপিলের পুনঃশুনানি শুরু হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
ইএস/আরবি