নড়াইল: নড়াইলে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে ছেলের করা মামলায় স্বামী মো. হেদায়েত শেখকে (৫৫) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নড়াইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. কেরামত আলী এ আদেশ দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. হেদায়েত শেখের বাড়ি জেলার লোহাগড়া থানার পদ্মবিলা গ্রামে। তিনি বর্তমানে পলাতক।
এ মামলার অপর দুই আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন- মো. খলিল শেখ ও আঞ্জুয়ারা বেগম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, স্ত্রী মমতাজ বেগমকে রেখে আঞ্জুয়ারা বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন হেদায়েত। এনিয়ে প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া বিবাদ হতো। ফলে তিনি ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বিভিন্ন সময় প্রথম স্ত্রীকে খুন করে গুম করার হুমকি দিতেন। ২০১২ সালের ৩ ফ্রেরুয়ারি রাত ৮টার দিকে মমতাজ ও তার ছেলে মো. রবিউল ইসলাম রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে রবিউল তার মাকে দেখতে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। এসময় তিনি তার বাবার লুঙ্গিতে রক্ত দেখে এর কারণ জানতে চাইলে হেদায়েত বলেন, সকালে তিনি একটি গরু জবাই করেছেন। এ কথা বলে হেদায়েত ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম পালিয়ে যান।
পরে পদ্মবিলা বিলে মমতাজের গলা কাটা মৃতদেহ পাওয়া পায়।
এ ঘটনায় রবিউল বাদী হয়ে বাবার নামে লোহাগড়া থানায় একটি হত্যা দায়ের মামলা করেন।
তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের স্বামী হেদায়েত শেখ, খলিল শেখ ও সতিন আঞ্জুয়ারা বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন বিচারক। বাকি দুই আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এসআই