ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

জঙ্গি ছিনতাই: ঈদী আমিনের বোনসহ ৩ জন রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
জঙ্গি ছিনতাই: ঈদী আমিনের বোনসহ ৩ জন রিমান্ডে

ঢাকা: ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটকে পুলিশকে মারধর ও চোখে পিপার স্প্রে করে জঙ্গি ছিনিয়ে নেওয়ার মামলায় গ্রেফতার আনসার আল ইসলামের সদস্য ঈদী আমিনের আশ্রয় দেওয়া বোনসহ তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহাম্মদ এ আদেশ দেন।

 

রিমান্ডে যাওয়া তিন আসামি হলেন- ঈদী আমিনের বোন খোদেজা আক্তার লিপি, মামা শ্বশুড় নাসির মিয়া ফারুক ও তানভীর হোসেন।

এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ কোতোয়ালি থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনের মামলায় তিনজনকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
 
রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঈদী আমিনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ফটক থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন। তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে ও তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২২ নভেম্বর লিপি আক্তারের পূর্ব গোড়ানের বাসায় আশ্রয়ে ছিল ঈদী আমিন। সেখান থেকে মামা শ্বশুর নাসির মিয়ার বিজয়নগরের বাসায় যায়। সেখানে ২২ নভেম্বর রাত থেকে ২৩ ও ২৪ নভেম্বর তার বাসায় অবস্থান করে। এরপর ২৫ নভেম্বর মধ্য বাসাবো এলাকায় তানভীরের বাসায় যায়। সেখানে ২৫ ও ২৬ নভেম্বর অবস্থান করে।

তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, এই তিন আসামি জানতেন, ঈদী আমিন একজন পলাতক আসামি এবং তিনি সন্ত্রাস বিরোধ আইনের অপরাধ সংগঠন করেছে। এটা জেনে এবং বিশ্বাস করার যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকা সত্ত্বেও ঈদী আমিনকে শাস্তি থেকে রক্ষা করার অভিপ্রায়ে তাকে আশ্রয় দেয়।

এই তিন আসামি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য কিনা, সদস্য হয়ে থাকলে তাদের সাথে আরও কারা কারা জড়িত আছেন তাদের শনাক্তসহ নির্ণয়ের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন তদন্ত কর্মকর্তা। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এর আগে, ২৭ নভেম্বর ঈদী আমিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ওইদিন সিটিটিসি ১০ দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার চারদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. আশ্রাফ এ তথ্য জানান।

২০ নভেম্বর দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার নিম্ন আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশের চোখে স্প্রে মেরে প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্য আবু সিদ্দিক সোহেল ও মইনুল হাসান শামীমকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাতে ২০ জঙ্গিকে আসামি করে মামলা করেন পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন আকন্দ। রাতেই ১০ জঙ্গির ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ২৪ নভেম্বর জঙ্গি ছিনতাই ঘটনার প্রধান সমন্বয়ক মেহেদী হাসান অমি ওরফে রাফির ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৮, ২০২২
কেআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।