সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় দুটি মামলায় আগামী ১০ জানুয়ারি সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছে আদালত। মামলা দুটি অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দায়ের করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) মামলা দুটির ধার্য দিনে আসামি পক্ষ আদালতে সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন জানায়। পরে সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডল ১০ জানুয়ারি মামলার সাফাই সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তি তর্কের দিন ধার্য করেন।
এ সময় মামলার প্রধান আসামি বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৩৯ জন আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ বলেন, মঙ্গলবার ৩৪২ ধারায় আসামি পরীক্ষার কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আসামি পক্ষে এসটিসি ২০৭/১৫ মামলায় নয়জন ও এসটিসি ২০৮/১৫ নং মামলায় আটজন সাফাই সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে তালিকা পেশ করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ। এ সময় তাকে সহায়তা করেন, জিপি অ্যাড. শম্ভুনাথ সিংহ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি ও অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু।
অপর দিকে, আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু ও অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার নির্যাতিত স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যান। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়ায় বিএনপির অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার উপরে আড় করে তার গাড়ি বহরে হামলা চালানো হয়। হামলায় আওয়ামী লীগের ১ ডজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় দায়ের করা হামলা মামলায় সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন নেতা-কর্মীকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন। এর মধ্যে নয়জন আসামি পলাতক রয়েছেন ও দুই জন মারা গেছেন। গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২২
এসআইএ