ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

লাইফস্টাইল

চকলেটেই শুরু হোক দুষ্টু-মিষ্টি প্রেম

স্মিতা সাহা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
চকলেটেই শুরু হোক দুষ্টু-মিষ্টি প্রেম ছবি: সংগৃহীত

কলকাতা: ভ্যালেন্টাইন ডে'র আগে ৯ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘চকলেট ডে’ হিসেবে উদযাপন করা হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি ‘রোজ ডে বা লাল গোলাপ দিবস’ এবং ৮ ফেব্রুয়ারি 'প্রোপজ ডে' উদযাপন করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা।

প্রোপজ হবে আর মিষ্টি মুখ হবে না, তাই কখনও হয়? কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ডায়েট।

আপনার প্রেমিকা কি ডায়েট করছেন? কিংবা আপনার প্রেমিক খুবই স্বাস্থ্য সচেতন, ক্যালোরি মেপে খাওয়া তার অভ্যাস। যে কারণে আপনি তাকে চকলেট দিতে ইতস্তত করছেন।

তবে জেনে নিন আপনার পছন্দের চকলেটে আসলে কী পরিমাণ ক্যালরি আছে?

ভালোবাসার সঙ্গে চকলেটের যোগাযোগ প্রায় চকলেট আবিষ্কারের সময় থেকেই। ইতিহাসের পাতায় চোখ রাখলে দেখা যায়, প্রায় ৩ হাজার ১০০ বছর আগে মধ্যআমেরিকায় চকলেট আবিষ্কার হয়। তবে সেই চকলেট আজকের চকলেটের মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক।

প্রেমের ঋতু বসন্তে গোলাপের মতো চকলেটও প্রেমের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। সাধারণত কোকো বীজ থেকে চকলেট তৈরি হয়। আমেরিকার প্রাচীন মেসো-আমেরিকান উপজাতিরা প্রথম কোকোর চাষ শুরু করেন। কোকো বীজকে ভালো করে রোস্ট করে তার সঙ্গে মেশানো হতো পানি, ভ্যানিলা, মধু এবং সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো। এটাই ছিল প্রথম চকলেটের রেসিপি।

ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, যীশুর জন্মের প্রায় ১৯০০ বছর আগে কোকোর বীজ এতো মূল্যবান ছিল যে, সেটিকে আর্থিক মুদ্রা হিসেবেও ব্যবহার করা হতো। তবে চকলেটে চিনির ব্যবহার শুরুর হয় ইউরোপে। ১৬০০ শতাব্দীতে চকলেটে ইউরোপিয়ানরা চিনির ব্যবহার শুরু করেন। সেই থেকে চকলেট জনপ্রিয়তার শিখরে ওঠে, যা আজও অব্যাহত।

এক্ষেত্রে জন ক্যাডবেরির নাম উল্লেখযোগ্য। তিনি ক্যাডবেরি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। জন ক্যাডবেরির হাত ধরেই গোটা বিশ্বে ক্যাডবেরি চকলেট জনপ্রিয় হয় ওঠে। আজ থেকে প্রায় ১৯৪ বছর আগে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘ক্যাডবেরি’। প্রথমে ইংল্যান্ডে চালু হলেও গোটা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি মিষ্টি স্বাদের এ খাদ্য দ্রব্যটি।

চকলেটে চিনি যেমন তার স্বাদের অন্যতম উপাদান, ঠিক তেমনই চকলেটে থাকা চিনি নিয়ে অনেকেরই আছে উদ্বিগ্নতা। চকলেট খেলে কি ওজন বেড়ে যেতে পারে? এমন প্রশ্ন তো আছেই। আদৌ কি মধুমেহ রোগকে ডেকে আনতে পারে চকলেট?

বিভিন্ন চকলেট ব্র্যান্ডগুলোকে বিশ্লেষণ করে তার ক্যালরির একটা হিসেব করা হয়েছে। এ হিসেব দেখে নিয়ে ‘চকলেট ডে’ উপলক্ষে আপনার প্রিয়জনকে চকলেট উপহার দিতেই পারেন।

ক্যাডবেরি ডিয়ারি মিল্কের ভক্ত নয়, এমন মানুষ খুবই কম আছে। আপনার মনের মানুষটি যদি এই তালিকায় থাকেন। তবে তাকে আপনি আজকের দিনে উপহার দিতেই পারেন ‘ক্যাডবেরি ডিয়ারি মিল্ক’। এ চকলেটে মোট ক্যালরির পরিমাণ প্রায় ৫২৯.৭। আছে ১০.২ গ্রাম প্রোটিন এবং ৫৯.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট সঙ্গে আছে ২৯ গ্রাম ফ্যাট।

অনেকেই ‘কিটক্যাট’ পছন্দ করেন। কিটক্যাটে আছে প্রায় ৪৮৬ ক্যালরি। সঙ্গে আছে ৬.৫ গ্রাম প্রোটিন এবং ৬০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। ২৪.৫ গ্রাম ফ্যাট আছে এই চকলেটে। আরেকটি পছন্দের ব্র্যান্ড ‘মার্স’। প্রায় ৪৫৫ গ্রাম ক্যালরি আছে এই চকলেটে। আছে ৪.৫ গ্রাম প্রোটিন। ১৮ গ্রাম ফ্যাট আছে এই চকলেটে। আরও দু’টি পছন্দের ব্র্যান্ড ‘স্নিকার্স’ এবং ‘মাঞ্চ’।

এতে ক্যালরি আছে যথাক্রমে ৫০৬ এবং ৪৮০ ক্যালরি। আর প্যাকেট ভরা নানা রঙের ‘জেমস’ বাচ্চা থেকে বয়স্ক সবারই পছন্দ। সেই জেমস'র একটি প্যাকেটে আছে প্রায় ৩৯০ ক্যালরি। এ সব তথ্য চকলেটগুলোর প্যাকেটে দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে।

সুতরাং, চকলেট খেলে খুব মোটা হয়ে যাবেন- এমন ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। তাই মন খুলে মনের মানুষটিকে উপহার দিন চকলেট। চকলেটের মাধ্যমেই শুরু হোক আপনার দুষ্টু-মিষ্টি প্রেমের প্রথম পর্ব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এসএস/টিআই/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।