কোলন ক্যানসার মূলত মধ্য বয়স বা তার থেকে বেশি বয়সী ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কম বয়সেও দেখা দিতে পারে এই রোগ।
রোগের লক্ষণ
প্রাথমিক অবস্থায় সাধারণত রোগীর পেটব্যথা, ক্ষুধামন্দা, পেট ফাঁপা ফাঁপা লাগা, ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেখা যায়। পরবর্তী সময়ে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, রক্তশূন্যতা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। মলত্যাগের পরও মনে হতে পারে ভালোভাবে মলত্যাগ হয়নি। এছাড়া রোগ ছড়িয়ে পড়লে আরও অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে।
ক্যানসার নির্ণয়
কোলনস্কোপি হলো কোলন ক্যানসার নির্ণয়ের সর্বোত্তম পরীক্ষা। এখন সহজেই কোলনস্কপি পরীক্ষা করা যায়। কোলনের নিচের অংশে টিউমার হলে সিগময়ডোস্কোপি নামক আরেকটি সহজ পরীক্ষা করা যায়। কোলনস্কোপি বা সিগময়ডস্কোপির মাধ্যমে যেমন সরাসরি টিউমার দেখা যায়, তেমনি সেখান থেকে টিস্যু নিয়ে পরীক্ষা করে নিশ্চিতভাবে বলা যায় ক্যানসার কি না।
প্রতিরোধে যা করবেন
কোলন ক্যানসার প্রতিরোধে নিয়মিত আঁশযুক্ত, অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ এবং ভিটামিন ও খনিজযুক্ত খাবার গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা, দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা, মদপান ও ধূমপান পরিহার করাও এই ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে রোগনির্ণয়ের জন্য নিয়মিত স্ক্রিনিং বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো জরুরি।
প্রতিরোধ ও প্রতিকারযোগ্য কোলন ক্যানসারকে প্রতিহত করার জন্য দরকার সতর্কতা ও সচেতনতা আর সেই অনুযায়ী কাজ করা।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২৪
এএটি