ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

কণ্ঠের যত্নে যা করবেন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
কণ্ঠের যত্নে যা করবেন

মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান তার কণ্ঠস্বর। আর এই কণ্ঠস্বর রক্ষায় প্রয়োজন হয় বাড়তি যত্ন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চিৎকার করে কথা না বলার মাধ্যমে কণ্ঠকে সুরক্ষা করা সম্ভব।  জেনে নিন কণ্ঠস্বরের যত্নে করণীয়—

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করে গলা পরিষ্কার করে নিতে পারেন। বেশি জোরে গড়গড়া করতে যাবেন না, প্রথমে ধীরে ধীরে গড়গড়া করে তারপর চাপ বাড়াতে থাকুন।  

হঠাৎ করে উচ্চৈঃস্বরে কথা বললে যেমন গলার জন্য সমস্যা হতে পারে, ঠিক তেমনি ফিসফিস করে কথা বলাতেও স্বরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে পারে। অর্থাৎ একটি আদর্শ স্কেল বা কণ্ঠস্বরের স্তর বজায় রেখে কথা বলতে হবে।

কণ্ঠ সুরকে শ্রুতিমধুর রাখতে হলে অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার পানি পান করা আবশ্যক।  

কণ্ঠ সুস্থ রাখতে ঠাণ্ডা পানি পরিহার করতে হবে। অনেক সময় গরমের মধ্যে বাইরে থেকে এসে হুট করেই আমরা ঠাণ্ডা পানি পান করি, যা আমাদের গলার জন্য ক্ষতিকর।

হঠাৎ ঠাণ্ডা পানি পান করলে গলা বসে যেতে পারে, এতে কণ্ঠের স্বাভাবিক সুরের ব্যত্যয় ঘটে।
 
কণ্ঠ সুস্থ রাখতে কিছু বদ-অভ্যাস পরিহার করতে হবে। বিশেষ করে ধূমপান গলার স্বর পরিবর্তন করে দিতে পারে। ধূমপানের কারণে কণ্ঠে বিভিন্ন রোগ দানা বাঁধে।

কণ্ঠই যদি হয় জীবিকা চালানোর অবলম্বন, তাহলে ধূমপানসহ অন্যান্য মাদক সেবন থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।  
 
তেঁতুল অনেক সময় কণ্ঠের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। সংবাদ পাঠ, কবিতা আবৃত্তি—অর্থাৎ বাচনভঙ্গি নিয়ে কাজ করলে তেঁতুল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।  

সারা দিন কাজকর্মে, চলাফেরায় ঘাম হয়; কিন্তু বেশিক্ষণ ঘামে ভেজা অবস্থায় থাকা যাবে না। বিশেষ করে ঘাম অনেকক্ষণ ধরে শরীরে থাকলে ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে।

এটি গলার জন্য উপকারী। বিশেষ করে যারা সংবাদ পাঠক, তাদের জন্য বেশ উপকারী। যষ্টিমধু নিয়মিত খেলে কণ্ঠ দৃঢ় ও পরিষ্কার হয়।

কণ্ঠকে শ্রুতিমধুর করতে এর পেছনে সময় ও পরিশ্রম দুই-ই ব্যয় করতে হবে। বিশেষ করে যাঁরা সংগীতশিল্পী, তারা প্রতিদিন সকালে বিভিন্ন রকমের কণ্ঠের ব্যায়াম ও রেওয়াজ করতে পারেন। এছাড়া সেমিনারে কিংবা অফিসের কোনো অনুষ্ঠানে কথা বলতেও কণ্ঠকে প্রতিদিন রেওয়াজের মধ্যে রাখুন।

অ্যান্টিহিস্টামিন, ডিকনজেসটেন্ট, অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, অ্যাসপিরিন, আইব্রুপ্রোফেন ইত্যাদি ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৫, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।