যতই মজাদার খাবার হোক না কেন, শিশু কিছুতেই খেতে চায় না। সারাদিন পর ছোট শিশুকে ভুলিয়ে খাবার খাওয়ানোর মতো ধৈর্য কর্মরত অভিভাবকদেরও থাকে না।
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে শিশুটি কোন কোন খাবার খেতে পছন্দ করছে। আপনি হয়তো খাসির মাংস খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু সেই খাবার তো শিশুও খেতে পছন্দ করবে এমন কোনো যুক্তি নেই। বরং প্রোটিন, ভিটামিন, বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি যেন পূরণ হয় সেদিকে নজর দিন।
শিশু খেতে না চাইলে জোর করে খাওয়াবেন না। নিজেরা যখন খেতে বসছেন, ঠিক তখনই তাকে সঙ্গে নিয়ে বসুন। নিজে হাতে খেতে শেখান। খাবার খাওয়া কিন্তু পড়তে বসা এক নয়। খুদে যেন খেতে বসতে ভয় না পায়। সেদিকেও খেয়াল রাখবেন।
খাওয়ার সময়ে শিশুর চোখের সামনে টিভি, মোবাইল রাখবেন না। বরং খেতে বসার সময় শিশুকে খাবারের পুষ্টিগুণ নিয়ে গল্প করুন। এটা খেলে তুমি অনেক শক্তিশালী হবে। সারা দিন সে কী করল, কার সঙ্গে খেলাধুলো করল এ বিষয়েও কথাবার্তা চলতে পারে।
শিশুর সুবিধা হবে বলে অনেক সময়ে মায়েরা ডাল-ভাত, তরকারি সব একসঙ্গে মেখে দেন। এই ধরনের মণ্ড করা খাবার বাচ্চাদের কাছে খুব আকর্ষণীয় হয় না। তার চেয়ে বরং প্লেটে সব ধরনের খাবার অল্প অল্প করে সাজিয়ে দিন। দেখতেও ভালো লাগবে। বিভিন্ন খাবার খাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ জন্মাবে।
খাবারের বিষয়ে সন্তানের আগ্রহ তৈরি করতে চাইলে একেবারে গোড়া থেকে তাকে সঙ্গে রাখুন। বাজার করা, তার পর ধোয়া-কাটা-বাছা, রান্না করা, প্লেটে সাজানো থেকে টেবিলে সার্ভ করা পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়াটির সঙ্গে খুদেকে যুক্ত রাখুন। দেখবেন খাবারের বিষয়ে আগ্রহ বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এএটি