সকাল থেকে সন্ধ্যা, যখনই সাগর আর নাদিয়ার দেখা হয় একজন অন্যজনের সমালোচনাই করতে থাকে। কবে কি হয়েছিল, কেন যে একটা কাজ এভাবে করেছে, কেন তার পছন্দের মাছ কেনে নাই, কেন সেদিন এক প্রোগ্রামে গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে নাই! নিজেদের মধ্যে সারাক্ষণ এই ঝামেলার কারণে সাগর বাসায় ফেরার কোনো তাড়া অনুভব করে না।
অন্যদিকে নাদিয়াও আর এই অশান্তির সংসারে থাকার কোনো মানে খুঁজে পায় না।
তবুও তারা থাকে একসঙ্গেই। সম্পর্কটা বেশ ফরমাল হয়ে গেছে। অনেকটা অফিসের কলিগদের মতো আচরণ দুজনেরই। তারা বুঝে উঠতে পারে না এই সম্পর্ক কি শুধুই সামাজিকতার জন্য, না মনের একটু টান এখনো অবশিষ্ট রয়েছে।
সম্পর্কের এই শীতলতা থেকে বেড়িয়ে এসে, আবারও ভালোবাসায় প্রিয় মানুষের সঙ্গে ভালো সময় ফিরিয়ে আনতে চাইলে, কিছু উদ্যোগ নিতে হবে নিজেকেই। যা করতে পারেন
আমরা প্রায় সবাই একই ধরনের একটা ভুল করে থাকি। তা হলো, আমরা ধরেই নেই, কেউ যখন আমাকে ভালোবাসবে, তখন সে আমার সব জেনেই ভালোবাসবে। এই ধারণা মনের ভেতরে পুষে রাখা একেবারেই অনুচিত। আপনার সঙ্গী আপনার মনকে বুঝতে পারবে, এ ধারণা থেকে দূরে সরে আসুন। যদি কিছু প্রয়োজন হয় বা ইচ্ছা, সেগুলো সঙ্গীর সঙ্গে গল্পে গল্পে বলে দিন। আপনি না বলেই যদি অভিযোগ করেন, কোনা আশা পূরণ না হওয়ার তবে সঙ্গীর তো দোষ নেই।
দুজন মানুষের একটা মত হবে এটা ভাবা একেবারেই বোকামি। বরঞ্চ ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই বলে ভিন্ন ধারণা কখনও আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করবে না।
যখন কোনো বিষয়ে কথা বলবেন তখন শুধু আপনিই বলে যাবেন এটা করবেন না। তার কথা শুনুন মনোযোগ দিয়ে, তার কথাকে প্রাধান্য দিন।
ভালোবাসার মানুষটিকে আপনার মতো করে তুলুন। শ্রদ্ধা করুন, অর্থপূর্ণ কাজ করুন, সামাজিক কাজে যুক্ত থাকুন, আপনার আগ্রহকে আবিষ্কার করুন এবং আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। এতে করে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়বে। দুজনই যদি দুজনার কাছে পরিষ্কার থাকেন তাহলে কোনো সমস্যাই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবে না।
সমালোচনা আর অভিযোগ করে করে সম্পর্কটাই যখন টিকিয়ে রাখা দায়, একটু পজিটিভ ভাবনা, প্রিয়জনের প্রশংসা করুন। তাহলে তিনিও আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ কমিয়ে প্রশংসায় ফিরবেন।
বাংলাদেশ সময় ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৪
এসআইএস