ডিমকে বলা হয় ‘সুপার ফুড’। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, ফসফরাস, আয়রন, জিংক সবই রয়েছে ডিমে।
* শিশুর মাংসপেশি, মস্তিষ্কের টিস্যু গঠন ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে
* সপ্তাহে চারটি ডিম টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ৩৭ ভাগ ঝুঁকি কমায়
* অবসাদ দূর করে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখে
* রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে
* রাতকানা রোগের ঝুঁকি কমায়
* হৃৎপিণ্ডের কার্যক্ষমতা ভালো থাকে
* হাড় ও দাঁত শক্ত করে।
ডিম যেভাবে খেলে পুষ্টিগুণ পাওয়া যায়—
তেলবিহীন পোচ: প্রথমে ডিমটা সাবধানে ভেঙে নিন একটি বাটিতে। এমনভাবে ভাঙতে হবে যেন কুসুম আস্ত থাকে, ছড়িয়ে না পড়ে। এর ওপর স্বাদ অনুযায়ী গোলমরিচ ও লবণ ছিটিয়ে দিন। এবার একটি পাত্রে ভিনেগার দিয়ে অল্প পানি ফুটিয়ে তার মধ্যে সাবধানে ছেড়ে দিন এই ভাঙা ডিম। পোচ তৈরি হয়ে গেলে ঝাঁজর দিয়ে পানি ঝরিয়ে তুলে নিন। এমন পোচে তেল লাগে না বলে ডিমের সবটুকু পুষ্টিগুণ অটুট থাকে।
ফুল বয়েল: ফুল বয়েলড ডিম শুধু খাওয়াসহ সালাদ বা স্যান্ডউইচের সঙ্গে খাওয়া যায়। লবণ পানিতে ১০ মিনিটি সেদ্ধ করলেই হবে। ফুল বয়েল ডিম সহজে হজম হয়।
হাফ বয়েল: ডিমের বাইরের সাদা অংশ ভালো মতো লবণ পানিতে ৫ মিনিটি সেদ্ধ করতে হবে। আর কুসুম আধা সেদ্ধ থাকবে।
শিশু থেকে বৃদ্ধ, নারী-পুরুষ সবাই সকালের নাস্তায় একটি ডিম খেতে পারেন বলে অভিমত পুষ্টিবিদদের। তারা বলে থাকেন, একটি সেদ্ধ ডিমে প্রায় ৮০ ক্যালোরি আছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ ক্যালোরি আসে চর্বি থেকে। ফলে সকালে একটি মাত্র সেদ্ধ ডিম খেলে সারাদিন শক্তি পাওয়া যায় এবং দুর্বলতা কমায়। তবে উচ্চরক্তচাপ, স্থুলতার মতো শারীরিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ডিম খেতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২৪
এএটি